নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এই গণহত্যার বিচার যতদিন নিশ্চিত না হবে ততদিন আওয়ামী লীগের প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের কোনো অধিকার নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টের কাছে ফ্যাসিবাদবিরোধী সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে যারা গণহত্যার সাথে জড়িত, যতদিন পর্যন্ত তাদের বিচার নিশ্চিত না হয় ততদিন তাদের জনসম্মুখে আসার কোনো অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের বিচার লগি বৈঠা থেকে শুরু হতে হবে। তাদের নৃশংসতা দেখা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে, শাপলা চত্বরে তারা অনেক আলেমকে রক্তাক্ত করে মেরেছে। আলেম সমাজকে দাড়ি টেনে টেনে তারা বায়তুল মোকাররম থেকে বের করে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
হাসনাত জানান, আওয়ামী লীগ ফিরবে তবে তারা বিচারের জন্য ফিরবে। গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। দুই হাজার শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে তাদেরও প্রতিহত করা হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, হিন্দুস্থান বসে হুংকার দেবেন আর গুলিস্তানে সংঘর্ষ করবেন, সেই সুযোগ ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ছাত্রজনতা আপনাদের দেবে না। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রাসঙ্গিক কি প্রাসঙ্গিক না সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আগে রাষ্ট্রের যৌক্তিক সংস্কার হবে এবং নির্বাচন এর একটি অংশ। আওয়ামী লীগ সরকার পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোর সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তারা শুধু ভোটের জন্য এসব করেনি। আহত অনেকের ভোটার আইডি এখনো নেই। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছে। আপনারা যদি ভাবেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনাদের হাতে সংস্কারের কাজ দিয়ে আন্দোলনকারীরা ঘরে চলে যাবে তাহলে ভুল ভাবছেন।
জেনেভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জুলুমকারীর ওপর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। তরুণ প্রজন্ম এবং বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিভাজনের রেখা না টানার আহ্বান জানান তিনি।
এমআই