মো:আশিক মিয়া,চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ মোট ২৪ জন অংশ নিয়েছেন "The 3rd International Conference on Innovation and Transformation for Development (ITD-2024)" শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে। তারা প্যানেল চেয়ার ও সেশন চেয়ারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মোট ১৭ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গত ৯ ও ১০ নভেম্বর গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ২১টি দেশের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নেন।
নির্বাচিত গবেষণাগুলোর বিষয়বস্তু ছিল সমাজ-রাষ্ট্রের যোগাযোগ, পরিবর্তিত সাংবাদিকতার ধারা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, নয়া গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ ও বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা।
সম্মেলনে প্যানেল চেয়ার হিসেবে ছিলেন চবি সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ। একটি সেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরীও ছিলেন সেশন চেয়ারের দায়িত্বে।
বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো: শহীদুল হক সেশন চেয়ারের দায়িত্ব পালন ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া শিক্ষকদের মধ্য হতে আরও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রভাষক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ।
২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার বলেন, এটা বিভাগের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের সংখ্যাটি প্রমাণ করে আমরা জ্ঞান অর্জন ও গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছি।
কনফারেন্সে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের ব্যাপারে অন্যতম সংগঠক ড. মোঃ শহীদুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি দরদ দিয়ে বিশেষভাবে যত্ন নিতে পারলে আরও অনেক গবেষক গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি বলেন, এ সাফল্যের জন্য বিভাগের গবেষণা সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব শাহাব উদ্দিনসহ থিসিস সুপারভাইজারদের বিশেষ অবদান রয়েছে।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জানান, প্রথমবার প্রবন্ধ উপস্থাপন করলাম। ইন্টারন্যাশনাল স্কলারদের সামনে নিজের গবেষণা তুলে ধরতে পারা এবং তাদের থেকে পাওয়া পরামর্শ আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
তানহা আজমী