এহসান রানা,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশেই দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম তার নিজ নির্বাচনীয় এলাকা ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসনে প্রচার-প্রচারণা ও দলীয় সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন।
তবে আসনটির বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নাসির খন্দকার স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে আওয়ামী লীগের সমর্থিত একাধিক চেয়ারম্যান ও পদধারী নেতাদেরকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে তার মাঠ গোছাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কঠোর নির্দেশনা- ‘বিএনপিতে যেন আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দলের নেতার অনুপ্রবেশ না করা হয়’। কেন্দ্রের সে নির্দেশনাও অমান্য করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের এই নেতা।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. মোদাররেস আলী ঈসা জানান, দলীয় হাই কমান্ডের কঠোর নির্দেশনা যে- বিএনপির দলে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দলেরই কোন কর্মী বা নেতাকে যোগদান করার কোন সুযোগ নেই। এটি কেউ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে দল।
ফরিদপুর ১ আসনের বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দলে ভেড়ানোর কিছু অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ফরিদপুর ১ আসনের তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপির কোন নেতাকর্মী আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তানহা আজমী