স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
কনকনে না হলেও বাতাসে শীতের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে। লেপ-কম্বল না বেরোলেও গোসলের পর গায়ে লোশন মাখার প্রয়োজন হচ্ছে। সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেশ ভোগাচ্ছে।
রাতে ইসবগুল খেয়েও সকালে ওয়াশরুমে বেশ সময় লাগছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে রোজ বাজার থেকে শাক কিনে, কেটে-বেছে, রান্না করে খাওয়াও তো ঝক্কির। তবে এ ছাড়া যে গতিমুক্তির উপায় একেবারে নেই তা কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, “শুধু শাক কেন? ফাইবার জাতীয় যে কোনও খাবার খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে সারা দিন ধরে শুধু ফাইবার খেলেই হবে না। ‘বাওয়েল মুভমেন্ট’-এর জন্য পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজেরও প্রয়োজন রয়েছে। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও খেতে হবে।”
শাক ছাড়া কোন কোন খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
১) আলুবোখরা:
আগে সাধারণ গেরস্থ বাড়িতে চাটনি বা আচার ছাড়া আলুবোখরা খাওয়ার চল ছিল না। তবে এখন শুকনো ফল হিসাবে আলুবোখরা বা প্রুন খাওয়ার চল হয়েছে। পুষ্টিবিদ বলছেন, এক কাপ ফলে প্রায় ১২ গ্রামের মতো ফাইবার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ‘সর্বিটল’ নামক একটি রাসায়নিক, যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে।
২) তিসি:
তিসি বা ফ্ল্যাকসিডে ‘সলিউবল’ এবং ‘ইনসলিউবল’ দু’ধরনের ফাইবারই থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে তিসি রাখা যেতেই পারে।
৩)মিষ্টি আলু:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের তালিকার মধ্যে রাখা যায় মিষ্টি আলুকেও। নানা রকম খনিজে সমৃদ্ধ এই সব্জিটিও কোষ্ঠ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৪) বিন্স:
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে বিন্সজাতীয় খাবার। দু’ধরনের ফাইবারের পাশাপাশি এতে যথেষ্ট পরিমাণে পানিও রয়েছে। তাই সপ্তাহে দু’দিন খাবারের তালিকায় বিন্স রাখা যেতে পারে।
৫) ডুমুর: শুকনো ডুমুরে ফাইবারের পরিমাণ ১.৮৬ গ্রাম। এ ছাড়া নানা রকম খনিজও রয়েছে এই ফলে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
তানহা আজমী