সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ ছাড়া নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ জন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর শয্যা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন মেঝেতে চলছে চিকিৎসা সেবা।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে বুধবার দুপুর ১০টা পর্যন্ত মৃতরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার সুবর্নবাদ গ্রামের জেহাদ হোসেন (৭০), সখিপুর গ্রামের মামুন ইসলাম (৪৫) কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫০), তালার শাহাপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৬০), সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ি গ্রামের মনিরউদ্দীন (৫৫), জাহানাবাজ গ্রামের আম্বিয়া খাতুন (২১), লাবসা গ্রামের আনছার উদ্দীন (৭৫) ও শহরের কাটিয়া এলাকার গোলজান বিবি (৭৭)। এদের মধ্যে মনিরউদ্দীন করোনা পজেটিভ ছিলেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৬৩ জন ও উপসর্গে মারা গেলেন ২৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৭৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা.মানস কুমার মন্ডল জানান, বর্তমানে মেডিকেলে ৩০ জন করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন ২৩৫ জন। মোট চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৬৫ জন। মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে বেড রয়েছে ২৫০ শয্যা। ইতোমধ্যে ১৫ জন রোগী ফ্লোরে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো ফ্লোরে ৩৫ জন রোগী ভর্তি করা যাবে। এরপর সাতক্ষীরা মেডিকেলে আর কোন রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হবে। তখন বিকল্প চিন্তা করতে হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেলে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ বাকিদের উপসর্গ ছিল।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। মেডিকেলে ৩০০ রোগী পূর্ণ হওয়ার পর আরও বেড সংখ্যা বাড়ানো যায় কিনা দেখতে হবে। মেডিকেলে ৪০০-৪৫০ রোগী রাখার মত জায়গা রয়েছে তবে রোগী রাখার বেড নেই। কোথাও থেকে জোগাড় করতে হবে। এছাড়া কি করার আছে। তারপর বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
সময় জার্নাল/আরইউ