মোঃ মাসুদুর রহমান খোন্দকার, সিকৃবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে তারা সাইফুল হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার, দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসে মুল সড়ক হয়ে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় "দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী, ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, সন্ত্রাসের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না" প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, চব্বিশ এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আমাদের বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি পক্ষ এখনো লেগেই আছে। ইসকন গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে কোন কথা বলেনি। অথচ স্বৈরাচারের পতনের পর আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে লেগে পড়েছে।
আমরা দেখেছি অভ্যুত্থান পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দিয়ে মন্দির পাহারা দেয়া হয়েছিলো। অথচ তারা আমাদের মসজিদ ভাঙচুর করলো। আমাদের ভাইকে হত্যা করলো। আজ আমার ভাই রক্ত দিয়েছে। এই রক্তের বিনিময়ে হলেও ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন সনাতনী ভাইদের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের আন্দোলন জঙ্গি সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে।
তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারের দোষররা এখন নানা বেশে ফিরে আসছে। তাদের কখনো আনসার লীগ হয়ে, কখনো ট্রাম্প লীগ হয়ে ফিরে আসতে দেখি। সর্বশেষ তারা আমাদেরকে প্রাগৈতিহাসিক মুসলিম-হিন্দু সম্প্রীতিকে ভাঙার লক্ষ্যে ইসকনের বেশে ফিরে এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী ছাত্র জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি। আমরা তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে উৎখাত করে বিপ্লবের ধারা অব্যাহত রাখবো। আমাদের ভাই সাইফুল ইসলাম যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা করেছেন উনার হত্যার নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষীদের শাস্তি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দিনভর সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজনের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর