আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখল করেছে তারা। উভয় পক্ষের লড়াইয়ে প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দুই দিনের লড়াইয়ে ১২১ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই এইচটিএসের সদস্য। এ ছাড়া ৪০ জন সরকারি সেনা ও ২১ জন মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর ৪৬তম রেজিমেন্টের ঘাঁটি এবং আটটি গ্রাম দখল করেছেন। তাঁরা আলেপ্পো ও রাজধানী দামেস্কে যুক্তকারী মহাসড়কের একটি এলাকা ও একটি মোড় দখলে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
দেশটিতে ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরকার দমন–পীড়ন চালালে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে এ লড়াইয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
বিদ্রোহীরা টেলিগ্রাম বিবৃতিতে বলেছে, তারা আলেপ্পো শহরের ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত খান আল-আসাল শহর দখল করেছে এবং সরকার সমর্থক বাহিনীর ২০০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে।
সিরিয়ার সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের বাহিনী সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ বাহিনীর সহযোগিতায় চলছে এ মোকাবিলা। সরঞ্জাম এবং হতাহতদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, সিরিয়ায় সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমারস পুরহাশেমি আলেপ্পো প্রদেশে নিহত হয়েছেন।
তানহা আজমী