মুহা: জিললুর রহমান,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়ন। সাম্প্রতিক এই বৈরী সম্পর্কের সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে দু’দেশের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান।
রাজনৈতিক টানপোড়নের বিষয়ে ভারত সরকার সরাসরি কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতার বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে নাান গুজর ছড়ালেও এর কোন প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য রয়েছে স্বাভাবিক।
ভোমরা স্থলবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত চার দিনে ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৯০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলেও রাজস্ব আয় ছিল ৩৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই বছর পণ্য আমদানি কম হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৭৭ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে,গত নভেম্বর মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এসব পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে দুই হাজার ৮৪টি ট্রাক।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে বৈরী অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়ালেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি বন্দরের কার্যক্রমে। আমরা বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।
তানহা আজমী