নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন কমিশন এর গৃহিত সিধান্তনুযায়ী ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ইং গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের, জিপিইইউ) কার্যকরী পরিষদের এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। তবে কিছু জটিলতায় নির্ধারিত দিনে হয়নি নির্বাচন।
বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন গ্রামীনফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাতুজ আলী কাদরী।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই গ্রামীণফোন লি: এর ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়ে আসছিলো এবং এই আপত্তির প্রধান কারন হিসাবে উল্লেখিত ছিলো ভোটার তালিকায় মামলা চলমান সদস্যদের ভোটার হিসাবে অন্তর্ভুক্তি করন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন এবং শ্রম অধিদপ্তর এর তত্ত্বাবধানে একাধিকবার যাচাই বাছাই করে মূল ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়! কিন্তু গ্রামীণফোন ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির সমাধানের উদ্দেশ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত একটি রুল জারির মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে। যে শ্রম আইন অনুযায়ী মামলা চলাকালীন কর্মীরাও ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটার হতে পারে! এমতাবস্থায় গ্রামীণ ফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহনে সচেস্ট রয়েছে। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইতিমধ্যে আপনারা অবহিত হয়েছেন যে একটা স্বার্থান্বেষী মহল প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া সহ সামাজিক মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন গড়া, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহিন তথ্য উপস্থাপন করছে। সকল কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জিপিইউ স্পস্টত জানাতে চায়, এই ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত কোন ধরনের কার্যক্রমের সাথে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই!
এখানে উল্লেখ্য দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লি. এর সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং এমপ্লয়ি স্বার্থবিরোধী কোন ধরনের কার্যক্রম কে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সমর্থন করে না। গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সর্বদা আইননুযায়ী এবং গনতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের পক্ষে।
এমআই