বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
জেলা প্রতিনিধি:
শীতের সাথে সাথে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। গত এক সপ্তাহজুড়ে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
অপরিদকে তীব্র শীতের কারণে জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিন থেকে দুপুরের পরে আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই কোন উত্তাপ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা।
নীলফামারী সদরের কৃষক আলামিন ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীত একটু বেশি অনুভব হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা ভেদ করে মাঝে মধ্যে দেখা মিলে সূর্যের। তবে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই।
শহরের বাবু পাড়ার রিকশা চালক সুমন মিয়া বলেন, গত দুই দিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়েছে। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। সকালে শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে খুব হয়। ঠান্ডার কারণে মানুষ গাড়িতে কম উঠছে। গত কয়েকদিনের থেকে আয় রোজগার কম হচ্ছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, আজকে সকাল ৬টায় ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, জেলার হতদরিদ্র মানুষের জন্য সর্বমোট ১২শ' কম্বল বরাদ্দ রয়েছে, প্রতিটি উপজেলার জন্য ৩ লক্ষ করে মোট ১৮ লক্ষ নগদ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, শয্যা তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর