আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শর্তসাপেক্ষে সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি ও সমর্থন দিতে পারে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন সরকারকে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে হবে, ওই দেশে থাকা সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মঙ্গলবার বলেন, সিরিয়ার নতুন সরকারকে অবশ্যই 'সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতির প্রতি সুস্পষ্ট থাকতে হবে, অভাবগ্রস্ত সবাই মানবিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, সন্ত্রাসবাদ বা প্রতিবেশীদের প্রতি হুমকির ঘাঁটি হিসেবে সিরিয়াকে ব্যবহার করা প্রতিরোধ করতে হবে।'
ব্লিনকেন বলেন, 'এই প্রক্রিয়ার ফলাফলের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের সিরিয়া সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি ও পূর্ণ সমর্থন দিতে পারে।'
তবে ব্লিনকেন অবশ্য কোন গ্রুপগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি। উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ফলে বাইডেন প্রশাসনকে ওই দিনই বিদায় নিতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দু'আইনপ্রণেতা মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনকে লেখা এক চিঠিতে সিরিয়া সরকারের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিরিয়ায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার পর্যন্ত দু'দিনে সিরিয়ায় ৪৮০টি হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের তীব্র হামলায় পতন ঘটেছে ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে আসাদ যুগের ৫৩ বছরের শাসনের।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অস্ত্রের গুদাম, গোলা বারুদের গুদাম, বিমানবন্দর, নৌঘাঁটি ও গবেষণা কেন্দ্রসহ সিরিয়ার সেনা বাহিনীর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইল বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর অস্ত্র যাতে ‘চরম পন্থিদের হাতে’ না যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
এছাড়া সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি প্রতিরক্ষা অঞ্চল গড়ে তুলতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, অধিকৃত গোলান মালভূমিতে উপস্থিতি আরো জানান দিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির। তিনি বলেছেন, ‘সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন। সবাই ধৈর্য ধরুন। আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নাগরিক পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করছি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছি।’
সময় জার্নাল/এলআর