মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অপচয়ের খাতায় পড়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল।
প্রকৌশল শাখা থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় সত্তর লাখ টাকা। এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
স্থাপত্য বিভাগের নকশায় ব্যয়বহুল টেরাকোটা ও সিরামিকের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৭ মার্চ ও বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. ওয়াজেদ ভবনের সামনের গোল চত্বরে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
২০২৩ সালের জুন মাসে ম্যুরালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিলো। এবছর জুলাই মাসে নির্মাণকাজ শেষ হলেও নানামুখী আন্দোলন এর কারণে আর উদ্বোধন করা হয় নি তৎকালীন হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের।
দেখতে দেখতে কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী সরকার পতনে কালী পড়ছে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা কালো কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে নবনির্মিত ম্যুরালে শেখ মুজিবর ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ছবি।
এই স্থাপনার ভবিষ্যত নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ম্যুরাল নিয়ে এখনো কিছু বলে নি। বর্তমান প্রশাসন যা করতে বলবে তাই করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান বাহাদুর বলেন, এখনো স্থাপনাটি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করা হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানায়, টিএসসি'র সামনের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে, বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রশাসনিক ভবন, সেন্ট্রাল মসজিদ ও হল গুলোতে যাওয়ার রাস্তার অবস্থাও করুন, টিএসসির জায়গা সংকট সহ আরো অনেক সমস্যা রয়েছে, এসব সমস্যার কথা বললেই আমাদের বলা হতো বাজেট নাই, টাকা নাই।
কিন্তু ম্যুরাল বানাতে ঠিকই বাজেট ছিল। এটা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। এই ম্যুরালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ ফুটিয়ে তোলা হোক।
সময় জার্নাল/এলআর