সুকান্ত দাস: বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল বন্ধ রেখে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। যদিও আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছিলো। কিন্তু তারা অনেক দিনের আটকে থাকা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে মেস এবং বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করে। কিন্তু একটা প্রশ্ন সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে মেসে কিংবা হলে যেখানেই থাকুক থাকবে তো শিক্ষার্থীরা। হলে থাকলে করোনা ঝুঁকি থাকবে তাহলে কি মেসে থাকলে সেই ঝুঁকি থাকবে না। সে যাইহোক এই সিদ্ধান্ত মেনে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে শুরু করে। তবে এই সিদ্ধান্তও বেশী দিন স্থায়ী হলো না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে আগামী ১৭ মে আবাসিক হল খুলবে এবং ২৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হবে। এই সময় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণা হতাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। এই ঘোষণা কতটুকু শিক্ষার্থী বান্ধব হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে শিক্ষার্থীদের মনে।অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স এর যেসব পরীক্ষা এক বছর আগে শেষ হবার কথা ছিলো তা এখনো শেষ হয়নি। এতে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাও দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। আর আবাসিক হল বন্ধ থাকার কারণে অগ্রিম টাকা দিয়ে বাসা এবং মেস ভাড়া করেছিলো যাদের পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো সেইসব শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা তিন মাস স্থগিতের ফলে তারা উভয় সংকটে পড়েছে। এই সময় তারা মেসে থেকে কি করবে। আবার তারা মেস ছেড়েও দিতে পারছে না কারণ অগ্রিম অনেক টাকা দেওয়া রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের অবস্থা 'জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ ' এর মতো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। করোনার কারণে এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। কিন্তু যেহেতু আবাসিক হল বন্ধ এবং সময় টা শীতকাল তাই ধার দেনা করে অনেকে মেস ভাড়া নিয়েছিলো।এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা জমিয়ে সেই জমানো টাকা দিয়ে মেস ভাড়া নিয়েছিলো। হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে তাদের। একে তো পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না আবার নিজেদেরও অর্থ উপার্জনের কোন মাধ্যম নাই। এমতবস্থায় এইসব শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব কে নেবে? সরকার নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন??
একবার হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া,পরে আবার তা স্থগিত করা,অন্যদিকে সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া এছাড়া সময়ে সময়ে সিদ্ধান্তের বদলের বিষয়ে চিন্তা করলে বোঝা যায় দেশের উচ্চশিক্ষায় সমন্বয়হীনতা কতোটা প্রকট। এর ফলে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে তীব্র সেশন জট সৃষ্টির সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ধারণা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষামন্ত্রনালয় এই সেশন জট নিরসনে ব্যবস্থা নিবে।কিন্তু ঘটলো তার উল্টো। পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পর অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সবার মনে একটাই প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আসলে কার? কিছুদিন আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী মেসে রাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে।জরুরী চিকিৎসার জন্য তাকে শহরে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স চাইলে তা দেওয়া হয়নি এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যাক্তি বলেছিলেন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব প্রশাসন নিবে না।এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং সবার মনে একটাই প্রশ্ন ওঠে আর তা হলো আবাসিক হল বন্ধ আবার ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব প্রশাসন নেবে না তাহলে ওইসব শিক্ষার্থীদের জন্য কার?
সম্প্রতি পরপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। বরিশালে রাতের অন্ধকারে পরিবহন শ্রমিকেরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর দুই দিন পর ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। এতেও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। এর কিছুদিন পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি ছাত্রী মেসে গভীর রাতে দফায় দফায় হয়রানির শিকার হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। এমন হাজারো ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে। এসব ঘটনার স্বীকার হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বায়িত্ব কে নেবে। এর একটা ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত এখনো বের হয়নি। প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না ।
ফলস্বরূপ বারবার এমন ঘটনার স্বীকার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাহলে কি শিক্ষার্থীদের কোন মূল্য নাই? যদি থাকে তাহলে পরিবহন শ্রমিক দ্বারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো হলো কেনো। এর জবাবদিহি জাতির কাছে করতে হবে। কিন্তু আসল বিষয় হলো কে জবাবদিহি করবে, শিক্ষার্থীদের দায়িত্বই কেউ নিতে চাচ্ছে না বর্তমানে। যদি জবাবদিহি করার কেউ থাকতো তাহলো নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের উপর এমন নৃশংস হামলা চালানোর সাহস কেউ করতো না। শিক্ষার্থীরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এমন হামলা জাতির ভবিষ্যতের উপর হামলার সামিল। এই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল আন্দোলনে ছাত্রদের ভুমিকা ছিলো অপরিসীম। ৫২' র ভাষা আন্দোলন, ৬৬' র ছয় দফা, ৬৯' র গণঅভ্যুত্থান, ৭১' র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০' স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং দেশের জন্য, ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। আর আজ স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রতি পদে পদে হেনস্তার শিকার হচ্ছে ছাত্ররা।শ্রমিকরা ছাত্রদের উপর হামলা করবে,স্থানীয়রা ছাত্রদের উপর হামলা করবে,ছাত্রীরা গণপরিবহনে হেনস্তার শিকার হবে এই যদি হয় অবস্থা তাহলে জাতির উন্নতি কীভাবে হবে দেশের ভবিষ্যতের উপর এমন অবিচার হলে দেশ এগিয়ে যাবে কিসের উপর ভিত্তি করে। এসব শিক্ষার্থীদের দায়িত্বও বা কে নেবে। অভিভাবক হীন ছেলে মেয়েদের যেমন যে যা খুশি তাই বলতে পারে,প্রতিবাদ করার কেউ নেই তেমনি বর্তমানে শিক্ষার্থীরাও আপাতদৃষ্টিতে অভিভাবক হীন। তাই যে যেভাবে পারছে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করছে না।যাদের অভিভাবক হিসেবে থাকার কথা তারা কেউই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নয়। একারণে দুষ্কৃতকারীরা বারবার শিক্ষার্থীদের তাদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। কারণ তারা বুঝে গেছে এদের সাথে যত অবিচারই করা হোক না কেনো এদের পাশে কেউ দাঁড়াবেনা। এর আগেও বহুবার শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রতিবারই এসব ব্যাপার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি পর্যন্তই থেকেছে।দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার দেখা যায়নি। যার ফলশ্রুতিতে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এরজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব যথেষ্ট ভাবে পালন না করা অনেকাংশে দায়ী।
কিন্তু এই দেশে ছাত্রদের বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জীবন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা স্যার ১৯৬৯ এর ১৮ ফেব্রুয়ারী শহীদ হয়েছিলেন। তিনি ছাত্রদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সামনে চলে গেছিলেন। বলেছিলেন তার ছাত্রদের উপর গুলি করার আগে তার বুকে গুলি করতে হবে।এমন মহান অভিভাবকও ছিলো যিনি ছাত্রদের বাঁচাতে নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ যখন শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকে,শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের দ্বারা হামলার শিকার হয় তখন কতৃপক্ষ হলের বাইরের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে চান না।কিন্তু এভাবে চলতে পারে না। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। হলে থাকুক কিংবা মেসে সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিতে হবে । দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই এখনো সবার জন্য হলে সিটের ব্যবস্থা করতে পারে নাই। তাই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকলে তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিবে না এমন বক্তব্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।সকল শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার ব্যাপারে আরও সচেষ্ট হতে হবে।
আর সব থেকে বড় কথা হলো শিক্ষার্থীদের একতাবদ্ধ হতে হবে। তারা একতাবদ্ধ না বলেই অন্যরা বেশি সুযোগ পায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা দেখলে এটাই মনে হয় যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যতোটা ঐক্য থাকা দরকার ছিল তা নেই। যারা খারাপ ব্যাবসা করে যেমন গাঁজা বা ইয়াবা ব্যাবসায়ী, তারা কিন্তু একতাবদ্ধ। কিন্তু যাদের মধ্যে ঐক্য থাকা খুব দরকার তারাই বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত। এমন হলে ভবিষ্যতে আরও সমস্যা হবে। শিক্ষার্থীদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চালু আছে, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা গুলো আগে থেকেই চালু রয়েছে, বিভন্ন কিন্টার গার্ডেন স্কুলে ক্লাস চলছে, বিসিএস এর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, স্কুল, কলেজ খোলার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, হাটে বাজারে স্বাস্থ্য বিধি মানছে না মানুষ, সারাদেশে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসবে কেউ বাধা দিচ্ছে না,সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বললেও কেউ মানছে না। দেশের অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলছে কিন্তু শুধু বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং মাঝে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর আবার সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ এক মহা গোলকধাঁধা। অনেক শিক্ষার্থী হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে। প্রচলিত শিক্ষাব্যাবস্থার পরিবর্তন হওয়ার দরকার।বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উচিত শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে অতিসত্বর বন্ধ হওয়া পরীক্ষা গুলো শুরু করার ব্যবস্থা করা। গণপরিবহনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যাতে কোন প্রকার হেনস্তার শিকার না হতে হয় সে ব্যাপারে শ্রমিক নেতাদের সাথে বসে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সর্বোপরি যে কোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষার্থী নয়,শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক: সুকান্ত দাস, পরিসংখ্যান বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
ইমেইল - sukantodas5555@gmail.com
সময় জার্নাল/আরইউ