আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে আছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা দেশটির ১০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। সিরিয়ার এতটা ভেতরে ইসরাইল আগে কখনোই প্রবেশ করতে পারেনি।
বাশার আল-আসাদ উৎখাত হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরাইল। এর অংশ হিসেবেই তারা সিরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করছে।
ইসরাইলি বাহিনীর ৬০৩তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন উরি আরমগ ইসরাইলি বাহিনীর সিরিয়ায় প্রবেশের ব্যাপারে বলেন, 'আমরা গত বুধবার সাপ্তাহিতক ছুটির জন্য আল-হিয়াম ত্যাগ করি। শনিবার আমরা ডাক পেয়ে ওই দিন রাতের মধ্যেই পুরো কোম্পানি গোলান মালভূমিতে জড়ো হই। রোববারের মধ্যে আমরা সিরিয়ার মাটিতে চলে যাই।'
তিনি বলেন, 'আমাদের সৈন্যরা এই মিশনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। তারা উদ্দীপ্ত, এমন কিছু সহজে পাওয়া যায় না। আমরা আমরা কমান্ডো ব্রিগেডের অধীনে তেল হাদার দখল করতে অগ্রসর হই। তবে প্রথম যানটি ব্রিগেড ৭ থেকে পাহাড়ের শীর্ষে ওঠে। ইসরাইলি বাহিনী এই প্রথম সিরিয়ার এত ভেতরে প্রবেশ করল। শেষবার ১৯৭৩ সালের ১২ অক্টোবর গোলানি বাহিনী এই পর্বত দখল করেছিল।'
ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিতভাবেই সিরিয়ার সেনা চৌকিগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। এর নাম 'সিরিয়ান পিটাস'। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন ও গাজায় হুমকির মুখে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশের কথা ভাবেনি।
আলমগ বলেন, 'সিরিয়ার এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রশিক্ষণ নেইনি। আমরা হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তবে এখন এখানে শত্রুরা না থাকলেও এই এলাকাটিই চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। আমরা জটিল বাধার গল্প শুনে বড় হয়েছি। তবে যতটা কঠিন ভেবেছিলাম, ততটা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের বুলডোজারগুলো এগুলো সামাল দিতে পারবে। আমাদের বিপরীতে তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।'
তিনি বলেন, বর্তমানে ইসরাইলি সৈন্যরা সিরিয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে মোতায়েন রয়েছে। এখান থেকে দামেস্ক দেখা যায়। হারমন ঢালও দেখা যায়। আমরা ইসরালের প্রতিরক্ষা ব্যাসার্ধ সম্প্রসারণ করছি।
সিরিয়ার সৈন্যদের ফেলে যাওয়া নানা অস্ত্র ও সরঞ্জামও হাতে পেয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে এগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ইসরাইলি সৈন্যরা তিনটি ট্যাঙ্ক দেখতে পেয়েছে। তবে সেগুলো খুবই অবহেলিত অবস্থায় দেখা যায়। জং ধরে গেছে। এগুলো দিয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করা যেত না।
সময় জার্নাল/এলআর