নিজস্ব প্রতিনিধি:
আজ রোববার হজযাত্রী নিবন্ধনে দ্বিতীয় দফা সময় শেষ হচ্ছে। হজযাত্রী নিবন্ধন হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার জন। ফলে এখনো ৭১ হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। ফলে আবারো সময় বাড়ানো হতে পারে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।
আগামী বছর হজ পালনে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধন করতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাস সময় দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হচ্ছে। হজ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। প্রথম দফায় গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় দেয়া হয়।
কিন্তু তিন মাসে হজযাত্রী নিবন্ধন করেন মাত্র ৪০ হাজার জন। ফলে তখনো বাকি থেকে যায় ৮৭ হাজার কোটা। এ জন্য নিবন্ধনের সময় আরো ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। একই সাথে প্যাকেজের পুরো টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিন্তু গতকাল পর্যন্তও হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়নি। দুই দফা সাড়ে তিন মাস সময় দেয়ার পরও নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৫ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ৬৩৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ৫১ হাজার ২৯০ জন নিবন্ধন করেছেন। ফলে এখনো ৭১ হাজার ২৭৩ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের ২০২৫ সালের হজযাত্রীদের জন্য হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ালে আগামী হজে হজ কোটা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর