স্পোর্টস ডেস্ক:
নিজেদের মাঠে আবারো হারল বার্সেলোনা। মাঠে একাধিক সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছে ইয়ামাল ও লেভানদোভস্কিরা। এ নিয়ে লা লিগায় চতুর্থ ম্যাচ হারল তারা। এ ম্যাচে হারলেও লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সেলোনা।
খেলার শুরু দিকে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বার্সেলোনা। এরপরও শেষ পর্যন্ত লড়াই জারি রেখে গোলের দেখা পায়নি ইমালরা। ফলে মাঠে টিকে থাকার রেসে অবশেষে লেগানেসের কাছে ০-১ ব্যবধানে হারতে হল হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে।
খেলা শুরুর মাঝামাঝিতে বার্সেলোনা দুর্দান্ত রকমের খেলা দেখিয়েছিল। নিজেদের সেরাটা দিতে কমতি রাখেনি। লেগানেসকে দমিয়ে রাখতে বলের দখলও রেখেছিল খেলার ৮০ ভাগ সময়। প্রতিপক্ষের জাল লক্ষ্য করে নিয়েছেন অনবদ্য ২০টি শট। কিন্তু জয় যেন আজ দেখা দেবে না। অবশেষে পয়েন্ট ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হল বার্সেলোনাকে।
মাঠে নেমেই ৪ মিনিটের মাথায় নজর দেয়া গোলে লেগানেসকে এগিয়ে দেন সার্জিয়ো গঞ্জালেজ। এক গোলে এগিয়ে থাকা দলটি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। তারা আর বার্সেলোনার জালে বল পাঠাতে না পারলেও নিজেদের গোল হজম করতে হয়নি।
সার্জিয়ো গঞ্জালেজের ওই গোলে কোচ ফ্লিকের দলকে চমকে দেয়। মুনির এল হাদ্দাদির দুর্দান্ত শটটি বার্সেলোনার জালে পাঠাতে গিয়ে গোলরক্ষক ইনাকির গায়ে লেগে পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে কর্নারের সুযোগ পায় লেগানেস। কর্নারের সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি গাঞ্জালেজ।
শেষদিকে বল নিজেদের দখলে রেখেও আর লেগানেসের জালের দেখা পেল না বার্সেলোনা। একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ফ্লিকের দল। শেষ পর্যন্ত হার দিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা। এবারই প্রথম নয়। এর আগেও লা লিগার ম্যাচে নিজেদের মাঠে হেরেছে বার্সেলোনা। তাতে লাস পালমাসের কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরেছিল রবের্ত লেভানদোভস্কিরা।
খেলায় এক গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে মাঝে মধ্যে আক্রমণে চাঙ্গা হয়ে উঠলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি লেগানেসও। ফলে এক গোলের ব্যবধানে শান্তনার জয় নিয়ে ফিরেছে তারা।
এ নিয়ে বার্সেলোনা চতুর্থ ম্যাচ হারলেও লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে ফ্লিকের দল। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে ওঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সময় জার্নাল/এলআর