নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কীভাবে পালিয়েছেন তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তাদের অভিযোগের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়ে শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিষয়ে শুনানি নিয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন বা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ বা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেওয়া হয় সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
চিফ প্রসিকিউটর বেলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টার পর সাবেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আব্দুর রাজ্জাকসহ ১২ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, বিচারক ও আমলাসহ ১৬ জন আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের বিষয়ে এবং আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই আদেশ।
এমআই