মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি: অনেক আশা নিয়ে এবার করোনার কারণে আটকে থাকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। অনেক দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরণের হতাশা কাজ করছিলো। সেশনজট, সময়মতো অনলাইনে ক্লাস করতে না পারা, আর্থিক অনটনসহ বিভিন্ন চিন্তায় শিক্ষার্থীরা এক ধরণের মানসিক অশান্তিতে ভোগছিলো ।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করা হয়।
এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে কিন্তু হঠাৎ করে পরীক্ষার মাঝ পথে এসে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি পরীক্ষা স্হগিতের সুপারিশ করে। তার ভিত্তিতেই ২৬ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি মিটিং ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা স্থগিত করে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা রকমের দুঃশ্চিতা। বার বার পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা দিতে না পারা, অন্যদিকে বাড়িতে অলস সময় কাটানো সবকিছু মিলিয়ে বাড়ি ফিরাটা হতাশার এবং শঙ্কর।
"অনেক আশা নিয়ে বাড়ি থেকে এসেছিলাম ভেবে ছিলাম পরীক্ষা দিয়েই এবার বাড়ি ফিরবো। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা মহামারীর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়, যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের এবং হতাশার। এতোদিন হয়ে গেল আজও একটি সেমিস্টার দিতে পারলাম না। জানিনা আবার কবে ক্যাম্পাসে আসতে পারবো" এভাবেই নিজেদের হতাশা আর দুশ্চিন্তার কথা জানাচ্ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এহাসানুর রহমান এবং জান্নাতুন নিশা।
আইন বিভগের শিক্ষার্থী মো: রায়হান বলেন, বাড়িতে অনেক অলস সময় কাটছিলো আমাদের। পরীক্ষা দেওয়াটা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিলো। এভাবে হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য যেমন কষ্টের তেমন দুশ্চিন্তার। তবে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।
সময় জার্নাল/এমআই