বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ : জীববিজ্ঞান প্রস্তুতি

বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ : জীববিজ্ঞান প্রস্তুতি

সময় জার্নাল ডেস্ক:

জীবে পরিবহণ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর)
১। উদ্ভিদে প্রস্তুতকৃত খাদ্য কোন কোষের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে পরিবাহিত হয়?
উত্তর : সিভনল
২। কাঠ দীর্ঘদিন পানির সংস্পর্শে থাকলে ফুলে ওঠার কারণ কী? উত্তর : ইমবাইবিশন
৩। মূলরোম থেকে পানি কোথায় প্রবেশ করে?
উত্তর : মূলের কর্টেক্সে
৪। ফ্লোয়েমের কোন কোষে শীতকালে ক্যালোজ জমা হয়?
উত্তর : সিভনল
৫। প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কী থাকে? উত্তর : পানি
৬। কোষপ্রাচীর ও প্রোটোপ্লাজম কলয়েডধর্মী হওয়ায় কোন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়?
উত্তর : ইমবাইবিশন
৭। ফ্লুইড অফ লাইম বলা হয় কাকে? উত্তর : পানিকে
৮। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া ঘটতে হলে দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণকে কী দ্বারা পৃথক করতে হবে?
উত্তর : বৈষম্যভেদ্য পর্দা
৯। ব্যাপন কোন ধরনের প্রক্রিয়া?
উত্তর : জৈব প্রক্রিয়া
১০। পত্ররন্ধ্রে কোন ধরনের কোষ থাকে? উত্তর : রক্ষীকোষ
১১। উদ্ভিদে গ্যাস বিনিময় ঘটে কীসের সাহায্যে?
উত্তর : ব্যাপন
১২। ব্যাপন কোন চাপের ফলে ঘটে? উত্তর : ব্যাপন চাপ
১৩। জীবদেহের ভৌত ভিত্তি কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম
১৪।উদ্ভিদে প্রস্বেদনের শতকরা কতভাগ পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে ঘটে? উত্তর : ৯০% 
১৫। বীজে অঙ্কুরোদগমের সাফল্য নির্ভর করে কোন প্রক্রিয়ার ওপর?
উত্তর : অভিস্রবণ
১৬। কোন প্রক্রিয়া পত্ররন্ধ্র বন্ধ ও খোলা হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে? উত্তর : প্রস্বেদন
১৭। রক্তসংবহনতন্ত্রকে সাধারণত কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ২ ভাগে
১৮। উদ্ভিদের অভ্যন্তরে এককোষ থেকে পানি অন্যকোষে চলাচল করে কোন প্রক্রিয়ায়?
উত্তর : অভিস্রবণ
১৯। উদ্ভিদের পানি পরিশোষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কী?
উত্তর : অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন
২০। রক্ত সংবহনতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে তন্ত্রের মাধ্যমে রক্ত প্রতিনিয়ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ এবং অংশে চলাচল করে তাকে রক্ত সংবহনতন্ত্র বলে।
২১। রক্তরসে শতকরা প্রায় কত ভাগ পানি রয়েছে?
উত্তর : ৯০%
২২। মূলরোম থেকে পানি কর্টেক্সে প্রবেশ করে কোন পদ্ধতিতে? উত্তর : কোষান্তর অভিস্রবণ
২৩। কৈশিক পানি মাটি থেকে অভিস্রবণ ও ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোথায় প্রবেশ করে?
উত্তর : মূলরোমে
২৪।একজন সুস্থ ব্যক্তি কত মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারে? উত্তর : চার মাস 
২৫। মূলরোম দিয়ে শোষিত পানি কোন প্রক্রিয়ায় জাইলেম ভেসেলে পৌঁছায়?
উত্তর : অভিস্রবণ
২৬। ক্যালোজ কখন গলে যায়?
উত্তর : গ্রীষ্মকালে
২৭। সুউচ্চ বৃক্ষের পাতায় পানি পৌঁছায় কীসের মাধ্যমে?
উত্তর : ভেসেল
২৮। উদ্ভিদে শোষণ কয়টি উপায়ে হয়ে থাকে?
উত্তর : ১টি
২৯। লবণ শোষণের বাহক তত্ত্ব কত সালে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর : ১৯৩৭ সালে
৩০। কোন উদ্ভিদ অতিরিক্ত খাদ্য পাতায় সঞ্চিত রাখে?
উত্তর : ঘৃতকুমারী
৩১।মানব দেহে কয় ধরনের এন্টিজেন রয়েছে?
উত্তর : ২ ধরনের 
৩২। লবণ শোষণের বাহক তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
উত্তর : Van der Honert
৩৩। Mason and Maskell কত সালে তুলা গাছের কাণ্ড ফ্লোয়েম পরীক্ষা করেন? উত্তর : ১৯২৮ সালে
৩৪। ঘৃতকুমারীর কোন অঙ্গে খাদ্য জমা থাকে?
উত্তর : পাতায়
৩৫। কোষ রস পরিবহণকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ২ ভাগে
৩৬। স্যাফ্রোনিনের রং কী? উত্তর : লাল
৩৭। হৃৎপিণ্ড আবৃতকারী পর্দার নাম কী?
উত্তর : পেরিকার্ডিয়াম
৩৮। কী রোধ করার জন্য শীতে পাতা ঝরে যায়?
উত্তর : প্রস্বেদন
৩৯। উদ্ভিদ প্রধানত অভিকর্ষীয় পানি কী দ্বারা শোষণ করে?
উত্তর : মূল
৪০। প্রস্বেদনকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতি’ নামে অভিহিত করেছেন কোন বিজ্ঞানী? উত্তর : কার্টিস
৪১।ডান নিলয় থেকে কোন নাড়ি বের হয়?
উত্তর : ফুসফুসীয় ধমনি 
৪২। উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধি হলে, কাণ্ডের বাকল ফেটে কী সৃষ্টি হয়? উত্তর : লেন্টিসেল
৪৩। প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় পাতার কোন অংশের বায়ু পানির সঙ্গে মিশে? উত্তর : বায়ুকুঠুরি
৪৪। বায়বীয় অঙ্গের ভিত্তিতে প্রস্বেদন কয় ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : ৩ ভাগে
৪৫। কোষরস কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ কোষে উপস্থিত খনিজ পদার্থ মিশ্রিত যে পানি তাকে কোষরস বলে।
৪৬। কোলেস্টেরল কোন হাইড্রোকার্বন থেকে উৎপন্ন হয়?
উত্তর : কোলেস্টেইন
৪৭। কিউটিকল কাকে বলে? উত্তর : পাতার উপর ও নিচের কিউটিনের আবরণকে কিউটিকল বলে।
৪৮। রক্তরসের রং কেমন? উত্তর : ঈষৎ হলুদাভ
৪৯। নারীর রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে HDL-এর আদর্শ মান কত?
উত্তর : ০.৯০-১.৬৮৫০। সাধারণত রক্তের কতভাগ রক্তরস? উত্তর : ৫৫ ভাগ
৫১। রক্তরসে জৈব ও অজৈব পদার্থের শতকরা পরিমাণ কত? উত্তর : ৮-৯%
৫২। রক্তরস কাকে বলে?
উত্তর : রক্তের বর্ণহীন তরল অংশকে রক্তরস বলে।
৫৩। নারীর রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে HDL-এর আদর্শ মান কত?
উত্তর : ০.৯০-১.৬৮৫৪। মানবদেহে কত প্রকার রক্তকণিকা দেখা যায়?
উত্তর : ৩ প্রকার
৫৫। রক্তকণিকার জন্ম কোথায়?
উত্তর : লাল অস্থিমজ্জায়
৫৬। একই দিনে জন্ম নেওয়া একটা শ্বেত কণিকার চেয়ে একটা লোহিত কণিকা কতদিন বেশি বাঁচে?
উত্তর : ১০০ দিন
৫৭। প্রতি কিউবিক মিলিমিটার রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা কত? উত্তর : ৫-১০ হাজার
৫৮। প্রতি কিউবিক মিলিমিটারে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কত? উত্তর : প্রায় ৫০ লাখ
৫৯। শ্বেত রক্তকণিকার চেয়ে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কত গুণ বেশি? উত্তর : প্রায় ৫০০ গুণ
৬০। প্রতি কিউবিক মিলিমিটারে অণুচক্রিকার সংখ্যা কত?
উত্তর : প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার
৬১। অস্থিমজ্জা থেকে কী রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়?
উত্তর : লোহিত ও শ্বেত কণিকা
৬২। রক্ত কোষের ক্যানসারকে কী বলে?
উত্তর : লিউকেমিয়া
৬৩। মৃত শ্বেত রক্তকণিকা কিসে পরিণত হয়? উত্তর : পুঁজ
৬৪। রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে কী হয়? উত্তর : লিউকোমিয়া
৬৫। ফ্যাগোসাইটিসিস কাকে বলে?
উত্তর : শ্বেত রক্তকণিকার জীবাণু ভক্ষণের প্রক্রিয়াকে ফ্যাগোসাইটিসিস বলে।
৬৬। কোন বিজ্ঞানী মানুষের রক্তের শ্রেণিবিভাগ করেন?
উত্তর : কার্ল ল্যান্ড স্টেইনার
৬৭।নাড়িঘাত চাপ কী?
উত্তর : উচ্চ রক্তচাপ ও নিু রক্তচাপের পার্থক্যকে নাড়িঘাত চাপ বলে। 
৬৮। বিজ্ঞানী কার্লল্যান্ড স্টেইনার কত সালে মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন? উত্তর : ১৯০১ সালে
৬৯। স্ট্রোক কী?
উত্তর : মস্তিষ্কের কোনো অংশের শিরা বা ধমনি ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থাকে স্ট্রোক বলে।
৭০। প্রোটোপ্লাজমের শতকরা কত ভাগ পানি?
উত্তর : ৯০%
৭১। একজন সুস্থ মানুষ একবারে কত মিলি রক্ত দিতে পারে? উত্তর : ৪৫০ মিলি
৭২। মানুষের দেহে প্রতি সেকেন্ডে কতটি লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়? উত্তর : ২০ লাখ
৭৩। হৃৎপিণ্ডের প্রাচীর কয়টি স্তর নিয়ে গঠিত? উত্তর : ৩টি
৭৪। ডায়াস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে।
৭৫।বর্ষাকালে ঘরের দরজা আটকানো কষ্টকর হয় কীসের জন্য? উত্তর : ইমবাইবিশন
৭৬। এপিকার্ডিয়াম মূলত কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : যোজক কলা
৭৭। ঊর্ধ্ব মহাশিরার কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত কীসে প্রবেশ করে? উত্তর : ডান অলিন্দ
৭৮। হেপাটিক শিরার শোষিত রক্ত কোথায় যায়?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডে
৭৯। শিরা কাকে বলে?
উত্তর : যেসব নালি দিয়ে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাদেরকে শিরা বলে।
৮০।ব্যাপন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন বলে। 
৮১। টিউনিকা মিডিয়া কোথায় পাওয়া যায়? উত্তর : ধমনি
৮২। ধমনির মাঝের স্তরটিকে কী বলে?
উত্তর : টিউনিকা মিডিয়া
৮৩। সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে পালসের মান প্রতি মিনিটে কত? উত্তর : ৭০
৮৪। প্রসবকালীন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাকে কী বলে?
উত্তর : এক্লামশিয়া
৮৫। হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার ফলে বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়াকে কী বলে?
উত্তর : অ্যানজিনা
৮৬।অভিস্রবণ সিলেকটিভলি ভেদ্য পর্দার মধ্যে দিয়ে কোন পদার্থ স্থানান্তরিত হয়? উত্তর : দ্রাবক 
৮৭। আমাদের রক্তে LDL-এর শতকরা পরিমাণ কত?
উত্তর : ৭০ শতাংশ
৮৮। পুরুষের রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে LDL-এর আদর্শ মান কত?
উত্তর : ১.৬৮-৪.৫৩
৮৯। নারীর রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে LDL-এর আদর্শ মান কত?
উত্তর : ১.৬৮-৪.৫৩
৯০। পুরুষের রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে HDL-এর আদর্শ মান কত?
উত্তর : ০.৯০-১.৪৫
৯১।উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান CO₂ বায়ু থেকে কোন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে?
উত্তর : ব্যাপন 
৯২। পুরুষের রক্তে প্রতি গ্রাম/ডেসি লিটারে ট্রাই গ্লিসারাইডের আদর্শ মান কত?
উত্তর : ০.৪৫-১.৮১
৯৩। কোন গ্রন্থির হরমোন তৈরিতে কোলস্টেরল ব্যবহৃত হয়? উত্তর : অ্যাডরেনাল
৯৪। মেদবহুল যকৃতে লিপিডের পরিমাণ কত শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়?
উত্তর : ২০-৩০
৯৫। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যভেদ্য পর্দার মধ্যে দিয়ে কী যাতায়াত করে?
উত্তর : দ্রাবক
৯৬। কোন অণুজীবের সংক্রমণে বাতজ্বর হয়?
উত্তর : Streptococcus
৯৭। হার্টবিট কী?
উত্তর : প্রতি মিনিটে যে সংখ্যক বার হৃৎপিণ্ড সংকুচিত ও প্রসারিত হয় তাকে হার্টবিট বলে।
৯৮। নেফ্রন কী?
উত্তর : বৃক্কের ইউরিনিফেরাস নালিকার ক্ষরণকারী অংশ ও কার্যিক একককে নেফ্রন বলে।
৯৯। পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহণ করে কী?
উত্তর : ফ্লোয়েম
১০০। কীসের অভাবে পত্ররন্ধ্র উন্মুক্ত হয়?
উত্তর : সূর্যালোক

ষষ্ঠ অধ্যায়: জীবে পরিবহন

সৃজনশীল ১ নম্বর প্রশ্ন : 

চিত্রটি লক্ষ করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

ক. ইমবাইবিশন কাকে বলে?
খ. ঘরে তাজা ফুল রাখলে এর গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায় কেন?
গ. চিত্র X-এর প্রক্রিয়াটিকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতি’ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্ভিদের তিনটি বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে চিত্র X-এর প্রক্রিয়াটি ঘটে, বিশ্লেষণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের (ক)-এর উত্তর
ইমবাইবিশন হলো কলয়েড জাতীয় শুষ্ক বা আংশিক শুষ্ক জাতীয় পদার্থ কর্তৃক তরল শুষে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
১ নম্বর প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর
ঘরে তাজা ফুল রাখলে মূলত ব্যাপনের কারণে এর গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায়। যে প্রক্রিয়ায় দ্রব্যের অণুসমূহ উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানের দিকে স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হয়, তাকে ব্যাপন বলে। ঘরে তাজা ফুল রাখলে সেই ফুলের গন্ধ ঘরের চারদিকে তথা নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানের দিকে ক্রমশ ব্যাপিত হয় এবং এর সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
১ নম্বর প্রশ্নের (গ) এর উত্তর
উদ্দীপকের চিত্র X-এর মাধ্যমে প্রস্বেদন প্রক্রিয়াটি দেখানো হয়েছে, যাকে বিজ্ঞানী কার্টিস ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রস্বেদন উদ্ভিদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যার উপকারী ও অপকারী উভয় ধরনের ভূমিকাই রয়েছে। এ কারণেই মূলত প্রস্বেদনকে বলা হয় ‘প্রয়োজনীয় অমঙ্গল’।
প্রস্বেদনের উপকারী দিক:
১। প্রস্বেদন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের নানা বিপাকীয় কার্যাবলিতে ভূমিকা পালন করে।
২।প্রস্বেদনের কারণেই জাইলেমবাহিকায় টান পড়ে যার কারণে মূলজ চাপের সৃষ্টি হয়।
৩। এ প্রক্রিয়ার কল্যাণেই পাতার মেসোফিল টিস্যুতে ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয়, যা মূলরোম কর্তৃক পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণে সাহায্য করে।
৪। উক্ত প্রক্রিয়া উদ্ভিদদেহে তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখে।
প্রস্বেদনের অপকারী দিক:
১। উদ্ভিদের পানি ও খনিজ লবণ পরিশোধনে ঘাটতি হলেও প্রস্বেদন অব্যাহত থাকে যার ফলে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় ও উদ্ভিদের দেহে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়।
২। শীতকালে মাটি শুষ্ক থাকার কারণে পানি শোষণ সেই পরিমাণে না হলেও উদ্ভিদের দেহ থেকে অধিক পরিমাণে অপসারিত হয় পানি। যার ফলে উদ্ভিদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মূলত বৈশিষ্ট্যের এরূপ বৈপরীত্যের কারণেই বিজ্ঞানী ‘কার্টিস’ প্রস্বেদনকে Necessary Evil বলে অভিহিত করেছেন।
১ নম্বর প্রশ্নের (ঘ) এর উত্তর
উদ্ভদে X প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন যা উদ্ভিদের পত্ররন্ধ, কিউটিকল ও লেন্টিসেলের মতো তিনটি বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
যে শারীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার দেহের অতিরিক্ত পানি তার বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে বাষ্পাকারে পরিবেশে উন্মুক্ত করে, তাকে প্রস্বেদন (Transpiration) বলে। উদ্ভিদ তার তিনটি বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে প্রস্বেদন সম্পন্ন করে, যা নিচে আলোচনা করা হলো-
১। পত্ররন্ধ্রীয় (Stomatal Transpiration)
উদ্ভিদ তার পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়ায় উদ্বৃত্ত পানি বাষ্পাকারে নির্গত করে, তাকে পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন বলে। পাতা, ফুলের বৃতি ও পাপড়ি দুই ধরনের রক্ষীকোষ (Guard cell) দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এদের পত্ররন্ধ্র বলে। উদ্ভিদের পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদনের পরিমাণ ৯০-৯৫%। তাই পাতাকেই উদ্ভিদের প্রধান প্রস্বেদন কেন্দ্র বলা হয়।
২। কিউটিকুলার প্রস্বেদন (Cuticular Transpiration): উদ্ভিদের বহিঃত্বকে বিশেষ করে পাতার ওপরে নিম্নপৃষ্ঠে এক ধরনের পাতলা আবরণ থাকে যাকে বলা হয় কিউটিকল। এই কিউটিকল ভেদ করে উদ্ভিদের কিছু পানি বাহ্যিক পরিবেশে নিষ্কাশিত হয়।
৩। লেন্টিকুলার প্রস্বেদন (Lenticular Transpiration) 
উদ্ভিদের গৌন বৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদের কাণ্ডের বাকল ফেটে গিয়ে অর্থাৎ কর্ক টিস্যুর স্থানে স্থানে ফেটে গিয়ে লেন্টিস নামক ছিদ্রের সৃষ্টি হয়, যার মাধ্যমেও উদ্ভিদের প্রস্বেদন সংঘটিত হয়। উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, কালের বিবর্তনে প্রস্বেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শারীর তত্ত্বীয় প্রক্রিয়া, যা উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এবং উদ্ভিদ উক্ত তিনটি বায়বীয় অঙ্গের সাহায্যে তার অত্যাবশ্যকীয় এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে।

সৃজনশীল ২ নম্বর প্রশ্ন :
ষষ্ঠ অধ্যায় : জীবে পরিবহন
 
উদ্দীপক
আরিফ সাহেব হঠাৎ বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করেন এবং প্রচণ্ডভাবে ঘামতে থাকেন। তাঁর মনে হচ্ছিল, ব্যথা গলা ও বাঁ হাতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এরপর আরিফ সাহেব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। চিকিৎসক তাঁকে কিছু পরামর্শ দিলেন।
ক) ব্যাপন কী?
ক) রক্তচাপ বলতে কী বোঝো?
গ) আরিফের সমস্যাটি কী? এর কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ) হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শগুলো মূল্যায়ন করো।
 
২ নম্বর প্রশ্নের (ক)-এর উত্তর
ক) যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, তাকে ব্যাপন বলে।

২ নম্বর প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর
খ) রক্ত প্রবাহের সময় ধমনির প্রাচীরে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বলে।
রক্তচাপকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা—
i. সিস্টোলিক প্রেসার : এর আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটার বা এর নিচে।
ii. ডায়াস্টোলিক প্রেসার : এর আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটার বা এর নিচে।
 
২ নম্বর প্রশ্নের (গ)-এর উত্তর
গ) উদ্দীপকে আলোচিত আরিফ সাহেবের সমস্যাটি হলো—হার্ট অ্যাটাক।
নিচে হার্ট অ্যাটাকের কারণ ব্যাখ্যা করা হলো— 
আরিফ সাহেবের হার্ট অ্যাটাক বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে দেহের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, রক্তে গ্লুুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন—অধিক তেলযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড খাওয়া, অলস ইত্যাদি জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে আরিফ সাহেবের এ রোগ হয়। এ ছাড়া আরিফ সাহেবের উচ্চ রক্তচাপ, সর্বদা হতাশা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বিমর্ষ থাকার কারণেও এ রোগ হতে পারে।
 
২ নম্বর প্রশ্নের (ঘ)-এর উত্তর
ঘ) উদ্দীপকে আরিফ সাহেবের রোগটি হলো হার্ট অ্যাটাক। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য চিকিৎসক আরিফ সাহেবকে ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ও হাঁটা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা, সবজি খাওয়া, ভাজা খাবার ও ফাস্ট ফুড পরিহার করার পরামর্শ দেন।
তাঁর এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধগুলো নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি সঠিক জীবনধারা ও খাদ্য নির্বাচন করতে হবে। তাঁকে চর্বিযুক্ত খাবার যেমন—ফাস্ট ফুড, খাসির মাংস, ভাজা খাবার, মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে; যাতে তাঁর শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল LDL বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষতি না হয়। সিগারেট, জর্দাসহ নানা রকম মাদক ও নেশাজাতীয় বস্তু হৃৎপিণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাঁকে প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম ও হাঁটা-চলার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে তাঁর শরীরে অতিরিক্ত চর্বি পরিশ্রমের ফলে কমে যাবে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে সব সময় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে এবং কোনো কাজে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া যাবে না। তাঁকে কাঁচা ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন—রসুন, তেঁতুল ও ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল। সুতরাং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ যথার্থ ছিল।
 
সপ্তম অধ্যায় : গ্যাসীয় বিনিময়

 সৃজনশীল ৩ নম্বর প্রশ্ন :
উদ্দীপক
জারিফের দাদির অনেক দিন ধরে খুসখুসে কাশি এবং প্রতিদিন বিকেলের দিকে জ্বর আসে। ক্রমেই শুকিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তিনি বলেন, সহজে এ রোগ প্রকাশ পায় না। জীবাণুগুলো শ্বেত রক্ত কণিকাকে পরাস্ত করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এটি বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ।
ক) ব্রংকাল কাকে বলে?
খ) রাত্রিবেলা গাছের নিচে ঘুমানো বিপজ্জনক কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ) জারিফের দাদির রোগ, রোগের কারণ ও লক্ষণগুলো উল্লেখ করো।
ঘ) ওই রোগের জন্য দায়ী জীবাণুকে কিভাবে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে এ রোগ নির্মূল করা যায়? সে ক্ষেত্রে তোমার ভূমিকা উল্লেখ করো।


৩ নম্বর প্রশ্নের (ক)-এর উত্তর
ক) শ্বাসনালির শেষ অংশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যে শাখা নালি গঠন করে, তাদের ব্রংকাস বলে।
 
৩ নম্বর প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর
খ) রাতের বেলা সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা শ্বসনপ্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। ফলে শ্বসনপ্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উৎপাদন চলতে থাকে। এ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস পাতার স্টোমাটার মাধ্যমে পরিবেশে বের হয়ে যায়। পরিণত কাণ্ডের বাকলে যে লেন্টিসেল তৈরি হয় তার মাধ্যমেও এসব গ্যাসের বিনিময় হয়। এ জন্য বড় গাছের নিচে রাতে ঘুমালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
 
৩ নম্বর প্রশ্নের (গ)-এর উত্তর
গ) জারিফের দাদি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। যক্ষ্মা একটি পরিচিত বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। Mycobacterium tuberculosis নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়।
 
লক্ষণ
দীর্ঘদিন ধরে খুসখুসে কাশি ও বুকে ব্যথা হয়।
ভগ্ন স্বর, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধামান্দ্য।
হাঁপানি, ঘন ঘন জ্বর আসা।
বারবার ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া দ্বারা সংক্রামিত হওয়া।
হাড়ে ব্যথা অনুভব, দুর্বলতা, কোনো গ্রন্থি অবশ হয়ে যাওয়া, জন্ডিস দেখা দেওয়া।
 
৩ নম্বর প্রশ্নের (ঘ)-এর উত্তর
ঘ) উদ্দীপকের রোগটি হলো যক্ষ্মা। সমাজ থেকে যক্ষ্মা বিতাড়িত করতে নিম্নলিখিত প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে রোগটি নির্মূলে কাজ করতে গেলে তা ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করতে হবে।
 
প্রতিকার ব্যবস্থা
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ নিবারণের নিয়মগুলো কঠিনভাবে মেনে চলতে হবে। এ জন্য পরিবার ও সমাজের সবাইকে সহযোগী হতে হবে।
রোগীকে হাসপাতালে বা স্যানোটেরিয়ামে পাঠানো বেশি নিরাপদ।
রোগীর ব্যবহারের সব কিছু পৃথক রাখতে হবে।
রোগীর কফ বা থুথু মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
এই মারাত্মক রোগের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে গেলে শিশুদের যক্ষ্মা প্রতিষেধক বিসিজি টিকা দেওয়া উচিত। শিশুদের জন্মের পর থেকে এক বছরের মধ্যে এ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আর টিকার প্রয়োজনীয়তা টিভি, যোগাযোগমাধ্যম বা মাইকিং ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে সবাইকে অবহিত করতে হবে।
বর্তমানে দেশের সব টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তা ছাড়া নিয়মিত ক্যাম্পেইন করেও আমরা রোগটি নির্মূল করতে পারি।

জীবকোষ ও টিস্যু ( দ্বিতীয় অধ্যায়)
সৃজনশীল ৪ নম্বর প্রশ্ন :
উদ্দীপক
 শিপন সাহেব একজন প্রকৃতিপ্রেমি যুবক। শীতকালের এক সকালে তিনি দেখতে পেলেন যে আশে পাশের গাছ থেকে পাতা ঝরে যাচ্ছে। তিনি আরো খেয়াল করলেন যে তার উঠছে।

(ক) কোষ কাকে বলে? ১
(খ) কোষের প্রকারভেদ বর্ণনা কর। ২
(গ) উদ্দিপকে উল্লেখিত গাছে যে ধরণের কোষ বিদ্যমান তার চিত্র অংকন করে অঙ্গানুগুলো চিহ্নিত কর। ৩
(ঘ) উদ্দিপকের গাছের পাতার কোষ ও হাতের চামড়ার কোষ এক নয়। ব্যাক্ষা কর। ৪
৪ নম্বর প্রশ্নের (ক)-এর উত্তর
(ক) জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।

৪ নম্বর প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর
(খ) নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ দুই ধরণের। 
যথা:
১. আদিকোষ: এ ধরণের কোষে কোন সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই। এদের দেহ রাইবোজোম থাকে, ক্রোমোজোমে থাকে। অন্যান্য কোষীয় আঙ্গানু অনুপস্থিত।
২. প্রকৃত কোষ: এ ধরণের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে। কোষীয় সকল উপাদান মাইটোকন্ডিয়া, প্লাজমিক, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।

৪ নম্বর প্রশ্নের (গ)-এর উত্তর
(গ) গাছের পাতার কোষ প্রকৃত কোষ। প্রকৃতকোষের উদ্ভিদকোষ গাছের পাতয় বিদ্যমান। নিচে উদ্ভিদকোষের চিত্র অংকন করে অঙ্গানু চিহ্নিত করা হল।
প্লাজমাডেজমাটা প্লাজমা মেমব্রন কোষপ্রাচীর ক্লোরোপ্লাস্ট কোষগহ্বর মাইটোকন্ড্রিয়া সাইটোপ্লাজম মসুণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা রাইবোজম নিউক্লিয়াস নিউক্লিয়ার রক্ত নিউক্লিয়ার আবরণী নিউক্লিওলাস গলজি বস্তু অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা।
চিত্রে: গাছের পাতার কোষ। 

৪ নম্বর প্রশ্নের (ঘ)-এর উত্তর
(ঘ) উদ্দিপকে উল্লেখিত গাছের পাতা ও হাতের চামড়া উভয়ই প্রকৃতকোষী। তবে গাছের পাতা উদ্ভিদকোষ ও হাতের চামড়া প্রাণীকোষ এর অন্তর্গত।

গাছের পাতার কোষ (উদ্ভিদকোষ): উদ্ভিদকোষ দেহে যে কোষ থাকে তাকে উদ্ভিদ কোষ বলে। এটি উদ্ভিদের গঠন ও কার্যের একক। উদ্ভিদকোষ বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানু নিয়ে গঠিত। উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর থাকে। প্লাসিড থাকে যা খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থও থাকে। উদ্ভিদ কোষে কোষ গহ্বর থাকে।
হাতের চামড়ার কোষ (প্রাণীকোষ): প্রাণীদেহে যে কোষ থাকে তাকে প্রাণী কোষ বলে। প্রাণীকোষ মাইটোকন্ডিয়া, নিউক্লিয়াস, ক্রোমাটিড, মাইক্রোভিলাস ইত্যাদি কোষীয় অঙ্গানু নিয়ে গঠিত। উদ্ভিদকোষে প্লাসিড থাকলেও প্রাণীকোষে প্লাস্টিড থাকে না। আবার প্রাণীকোষের কোষ গহ্বর উদ্ভিদকোষের তুলনায় ছোট। তাই বলা যায়, গাছের পাতার কোষ ও হাতের চামড়ার কোষ এক নয়।

তৌফিক সুলতান, শিক্ষক - ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল,কাপাসিয়া,গাজীপুর।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল