নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ নববর্ষের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইটে) রাজধানীর বাসা-বাসা বাড়ির ছাদ, ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে সমাগম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আতশবাজি, পটকা, ককটেলের ব্যবহার বন্ধেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি সঙশ্লিষ্ঠদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। গতকাল সোমবার রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মো.আশরাফ উজ জামান।
রিটের পর আইনজীবী জানান, এই রিটে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই দিন আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও এই রিটে চাওয়া হয়।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিং হয়। এতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
এছাড়াও ইংরেজি নববর্ষ উৎযাপন ঘিরে ফানুষ উড়ানো, আতশবাজি, পটকা, উচ্চশব্দরোধে আজ সন্ধ্যার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ সকালে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এমআই