স্পোর্টস ডেস্ক:
বিপিএলের শুরুর ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। আজ নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ডবুক উলট-পালট করে দিলেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। তাসকিনের রেকর্ডগড়া ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমেছে ঢাকার ইনিংস।
৪ ওভার বোলিং করে ১৯ রান খরাচয় ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটা। ২০২০ সালে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। এতোদিন সেটাই ছিল বিপিএলের সেরা বোলিং রেডর্ক।
দিনের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে উইকেট হারায় ঢাকা। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তাসকিনের অতিরিক্ত বাউন্সার সামলাতে ব্যর্থ হয়ে খোঁচা মারেন লিটন। প্রথম স্লিপে বল তালুবন্দি করেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারো উইকেট পান তাসকিন। অফ স্টাম্পের একটু দূরে টার্ন করা বলে পরাস্ত হন তানজিদ। ৯ রান করা এই ওপেনারের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়। বল গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক আকবর আলী। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও পাওয়ার প্লেতে রানের চাকা সচল রাখে ঢাকা। তৃতীয় উইকেটে স্টিফেন এস্কিনাজি ও শাহাদাত হোসেন দীপু ৭৯ রানের জুটি গড়েন। ২৯ বলে ৪৬ রান করা এস্কিনাজিকে বোল্ড করেন হাসান মুরাদ।
ব্যক্তিগত ১৬ রানে থাকা অবস্থায় একবার জীবন পান লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। ৯ বলে ২১ রান করে সেই বিদায় নেন তিনি। মোহর শেখের স্লোয়ার বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ফলে দিপুর সঙ্গে তার ৩৬ রানের জুটি ভাঙে। এরপর ফিফটি হাঁকান দীপু।
ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহের দিনে এরপর আগুন ঝরান তাসকিন। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আরো দুই উইকেট নেন এই পেসার। ৪১ বলে ৫০ রান করে বাউন্ডারি লাইনে রায়ান বার্লকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন দীপু। সেই ওভারের পঞ্চম বলে চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে বিদায় করেন তাসকিন।
তার শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে অফ সাইডে হাঁকাতে গিয়ে উইকেটরক্ষক আকবরের তালুবন্দী হন এই শ্রীলঙ্কান। ম্যাচের শেষ ওভারে আরও তিন উইকেট নেন তাসকিন। ৯ বলে ১৩ রান করা আলাউদ্দিন বাবু, শূন্য রানে থাকা মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং শুভম রাঞ্জানেকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো সাত উইকেট নেন তিনি।
এমআই