রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। দিনের পুরোটা সময় জুড়ে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জনপদ। শীতজনিত রোগে রোগির সংখ্যা বাড়ছে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সহ উপজেল স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স গুলোতে । নিম্ন আয়ের মানুষজন পুরানো শীতের কাপড় ও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ।
কৃষকরা সামনে বোরো আবাদের জন্য বীজ তলায় ব্যস্ত সময় পার করছে । কনকনে শীত উপেক্ষা করে বিলের জেগে ওঠা জমিতে কেউ আগাম শুরু করেছে বোরো ধানের চারা লাগানো। শীতের সবজির ভালো দাম পাওয়ায় সবজি খেতেও ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা । বিশেষ করে নতুন আলু তোলার কাজ করছে অনেক কৃষি শ্রমিক । বোর চাষের জন্য জমিতে পানি নালা প্রস্তুত করছে কৃষকরা। কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মানুষজন এই শীতে পড়েছে চরম বিপাক। খেটে খাওয়া মানুষজন কনকনে শীতে কাজে বের হতে পারছে না।
বেলগাচা ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান জানান, অন্যান্য বারের মতো এবার তেমন কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে না। শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা প্রয়োজন। ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফি জানান, অল্প বরাদ্দের মধ্যে শীতার্ত মানুষের চাপ সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায় গত দুইদিন থেকে তাপমাত্রা ১১ এবং ১১.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে । আজকের তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসন জানায়, এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার কম্বল উপজেলা সমুহে বিতরন করা হয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পাওয়া গেলে তা শীতার্ত ও দুস্থ মানুষ জনের কাছে বিতরণ করা হবে ।
এমআই