মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা

সোমবার, জানুয়ারী ১৩, ২০২৫
ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসস্থ থানায় সোপর্দ করেন।

তোপের মুখে পড়া ওই ছাত্রলীগ নেতা ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতির পদে আছেন। প্রকাশ্যে জুলাইয়ের আন্দোলনের বিরোধীতা ও  শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সে আন্দোলন পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত ছিলো এবং আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসে আন্দোলনকারীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়া হবে মর্মে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে তার ক্যাম্পাসে আসার খোঁজ পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভবনের ৩য় তলায় পরীক্ষার হলের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ বিরোধী শ্লোগান দেয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অতর্কিতভাবে কিছু কিল-ঘুষি ও চড়থাপ্পড় দেয়। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে নিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিভাগের শিক্ষকরা জানান, সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলো। পরে আমরা তাকে আসার জন্য নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আজকে সে কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছে বলে মনে করি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরও সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। আসার পেছনে কারোর ইন্ধন রয়েছে কিনা শিক্ষার্থীদের সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইবি থানার ওসি মেহেদী হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি সে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুন অর রশিদ ১৮ নম্বর আসামি। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে গত ৭ জানুয়ারি সে জামিন পায়।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল