মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম, গবি প্রতিনিধি:
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাদদেশে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রাণ হারানো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শপথবাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে বরণ করা হলো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) জানুয়ারি-২০২৫ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নবীন শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন।
এদিন নবীনদের পদচারণায় সকাল থেকেই মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শপথ গ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে (কক্ষ ৪১৭ নং) দুপুর ১ টায় জুলাই-২৪ গণ অভ্যুথ্যানের শহীদদের প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা।
এ সময় নবীনদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. রফিকুল আলম বলেন, ৫ আগষ্টে পরে দেশের টালমাটাল অবস্থা। সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই অবস্থা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান বুর্জোয়া শ্রেনীর বিরুদ্ধে। শুধুই টাকা উপার্জন লক্ষ্যে হওয়া উচিত না। মনে রাখতে হবে 'মানুষ জন্মে একবার এবং মারা যাবেও একবার’।
সকলের সুস্বাস্থ্য ও উন্নতি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষা আমাদের জন্য নিরাপত্তা সরূপ। পরিশ্রম ও শিক্ষার সমন্বয়ে একটু দেরিতে হলেও তোমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে নিরাপত্তার সাথে।বিশ্ববিদ্যালয় একটি উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার স্থান। এর বাহিরে তোমরা যদি অন্য কিছু করো তাহলে তার দায়ভার তোমাদের। ৩২ একরের বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমারা মানসম্মত ক্লাসরুম ও ল্যাব সুবিধা পাবা এবং সুবিধা সমূহ বর্তমান অবস্থার চেয়েও আরো উন্নত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মাঝেমধ্যে আসবেন এবং আপনার সন্তানের পড়াশুনা তদারকি করবেন, ফলতো আপনার সন্তান সুশিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে।
উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরিকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। গণতে শিক্ষার্থীরা উভয় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা পায়। এখানে শিক্ষার মান উচ্চমানের এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক খুবই ভালো। শিক্ষার্থীরা সহজেই শিক্ষকের কাছে যেতে পারে, কোনো আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের পছন্দ ও সিদ্ধান্তই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গবির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকগণ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনটি শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ধারাবাহিক ভাবে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উপস্থিতে কেন্দ্রীয় ভাবে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও ২০২২ সালের পর পুনরায় এ বছর থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের কেন্দ্রীয় আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করেছে গবি প্রশাসন।
এমআই