সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৬০ বছর পর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগকে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগকে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হাসান ভূঞা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে প্রয়োজনীয় স্থাপনা তৈরী না হওয়া পর্যন্ত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের কার্যক্রম পূর্বের মতো করিম ভবন থেকে পরিচালিত হবে। তবে, স্থাপনা তৈরী হওয়ার পর, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান অফিস রুম, শিক্ষকদের বসার রুম, ল্যাবরেটরি ও অন্যান্য সম্পত্তি কৃষি অনুষদের ডিনকে লিখিতভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হাসান ভূঞা বলেন, পূর্বে কৃষি অনুষদে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ হতে কোর্স কারিকুলাম আহ্বান করা হতো। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের কারণে ১৯৬৯ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পাশ করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কারণে বিভাগটি কৃষি অনুষদে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। তবে শুধুমাত্র কৃষি প্রকৌশল অনুষদে আবশ্যিক হিসেবে এ বিভাগের কোর্সসমূহ পড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারনে ১৯৬৯ সাল হতে এই বিভাগটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরিত হয় নি।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২৭ জানুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরিত হয়। এই বিভাগটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ কৃষি প্রকৌশলী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগটি এতদিন কৃষি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এখন থেকে এটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দক্ষ কৃষি প্রকৌশলী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এমআই