মোঃ হাসনাইন : ৪র্থ বছর শেষ করে ৫ম বছরে পদার্পণ করলো, নিজের হাতে গড়া সংগঠন সরকারি তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাব জিটিসি-ডিসি।
তিতুমির কলেজের শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সহ- শিক্ষার মাধ্যমে নিজের মেধাকে বিকশিত করতে, নিজেদের অধিকারের কথাকে যুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করে তার সমাধান করতে এবং সেই সাথে নিজেকে সবার সামনে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করে সকলের চেয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ আলাদাভাবে রাখতে পারার জন্য জিটিসি ডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
যে সময় তিতুমিরে রামদা,ছুরি, কাচির লড়াই চলছিল সে সময় তিতুমিরের কিছু তরুণ কলম নিয়ে হাজির হয়েছিল। তারা শিখিয়েছিল কিভাবে কলম, আর যুক্তি দিয়ে রামদা, ছুড়ি, কাচির লড়াইকে হারিয়ে দেওয়া যায়। সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের অনেক ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা সহজে আমাদের কোন কথা শুনতে চাই নি। কিন্তু আমরা হাল ছাড়ি নি। দীর্ঘ দেড় বছরের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতা লাভ করি। তবে এই সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ক্লাবের বর্তমান সভাপতি ও ক্লাবটি প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুব হাসান রিপন।
ক্লাব প্রতিষ্ঠার পরবর্তীতে তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাবের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে ২৩ তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ক্লাবের সভাপতি মাহাবুব হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো হাসনাইন, সিনিয়র সহ সভাপতি জাবেদ ইকবালের হাত ধরে । দেশের সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় একটি দলকে হারিয়ে। এছাড়া সংগঠন টি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগে বিতর্ক চর্চা ছড়িয়ে দিয়েছে।
দুই তিন দিন ধরে তিতুমির কলেজের সংগঠন গুলোর মধ্যে এক ধরনের বিভক্তি দেখতে পাচ্ছি। কে তিতুমির কলেজ এর প্রথম সংগঠন সেটা নিয়ে বিতর্ক। তবে বিতর্ক হওয়ার কোন উচিত বা দরকার ছিল না।
৯০ এর দশকে তিতুমির কলেজে যেমন বিতর্ক ক্লাব ছিল, তার পরবর্তীতে তিতুমির কলেজে সাংবাদিক সমিতিও খুব সুনামের সাথে কাজ করেছিল। কিন্তু কালের পরিবর্তনে সবগুলো সংগঠন মোটামুটি বিলুপ্ত হয়েছে।
কিন্তু তিতুমির কলেজে সুধুমাত্র ৩-৪ জন ছাত্রদের ইচ্ছায় প্রথম করে নতুন ভাবে জাগ্রত হয় সরকারি তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাবের। যে সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকতো রাজনৈতিক হাঙ্গামার জন্য, সেখানে তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাব বেঞ্চে বসে বিনা টাকায় ফর্ম বিতরণ শুরু করে।
তবে এটা অস্বীকারের বিষয় নেই যে তিতুমির কলেজের আরেকটি সংগঠন সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।তবে সে সংগঠন টি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছাত্রদের তুলনায় শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।তবে সংগঠনটি খুব সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে । তিতুমির কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কে কিভাবে প্রতিষ্ঠা হল সেটি কোন বড় কথা না। প্রতিটি সংগঠন সরকারি তিতুমির কলেজে শিক্ষার্থীদের প্রাণ কেন্দ্র।
বিতর্ক ক্লাব নিয়ে যদি শেষ কথা বলি, তাহলে সেটি হবে, ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর ৫ বছর কেটে গেলেও, আমাদের আরো বড় সফলতা থাকতে পারতো। সাংগঠনিক কিছু দুর্বলতা, সংবিধান ছাড়া সংগঠন চালিয়ে নেওয়া, সংগঠনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া , সংগঠনটিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাঁধা সৃষ্টি করছে।এই সমস্যা গুলোর সমাধান খুব বেশি জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমানে।
আজ ৭ মার্চ ঐতিহাসিক দিন যেমন বাংলাদেশের জন্য , সেই সাথে সরকারি তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাবের জন্য। আজ নিজের হাতে গড়া সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনে তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাবের সকল তার্কিক , সংগঠক সবাইকে শুভেচ্ছা।
সহ- প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক
সরকারি তিতুমির কলেজ বিতর্ক ক্লাব