স্পোর্টস ডেস্ক :
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে দেশ ছাড়ার আগে গত বুধবার গণমাধ্যমকে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি।' বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের চাওয়া যদি পূরণ হয়, তাহলে টাইগারদের পকেটে ঢুকবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি।
আট বছর পর হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আট দল নিয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে প্রতিযোগিতাটি চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। শুক্রবার আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সবশেষ আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৫৩ ভাগ।
আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দুই দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। আর তলানিতে থাকা দুই দলের জুটবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে।
আট দলের প্রতিটি কেবল অংশগ্রহণের সুবাদে আলাদাভাবে পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। তাছাড়া, গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ী দলের মিলবে ৩৪ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানির পরিমাণ ৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে হলে অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। একটি ম্যাচ জিতলেও মিলতে পারে শেষ চারে খেলার টিকিট। তবে অনেক যদি-কিন্তুর সমীকরণের ভেতর দিয়ে যেতে হবে টাইগারদের। গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ জেতার পর সেমিতে ও ফাইনালে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে যদি শান্তর লক্ষ্য পূরণ হয়, তাহলে বাংলাদেশ প্রাইজমানি হিসেবে পাবে মোট ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বেশি।
এবার বাংলাদেশ অংশ নেবে 'এ' গ্রুপে। তাদের তিন প্রতিপক্ষ দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। 'বি' গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। প্রতিটি গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনালে।
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে নয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ফিল সিমন্সের শিষ্যদের করে দেখাতে হবে অসাধারণ কিছু। কারণ, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তেমন ভালো না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের আসরে তারা সেমিতে পৌঁছালেও সেখানে ভূমিকা ছিল বৃষ্টির।
বাংলাদেশ যদি এবার কোনো ম্যাচ না জিতেই বিদায় নেন, সেক্ষেত্রেও তারা আর্থিক পুরস্কার হিসেবে পাবে মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি।
এমএই