সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল তাদের জীবদ্দশায় হাসিনার ক্ষমতার পালাবদল সম্ভব নয়। তাদের হতাশা দূর করে প্রত্যাশার আলো দেখিয়েছে ছাত্ররা। তারা যেটা পারেনি ৫ই আগস্টে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ছাত্রজনতা তা করে দেখিয়েছে। ছাত্ররা হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে বিফল করে তারা একত্রিত থেকেছে। এবার ছাত্ররা বাংলাদেশের মানুষকে সুসংগঠিত করতে পারলে দেশ নতুন আলোর মুখ দেখবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে জুলাই পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার ও অধিকার হারা হয়েছে ইসলাম। বাংলাদেশের আলেমরা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি বিচারিক আদালতের মাধ্যমে যত ইসলামি নেতৃত্বকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এমন এমন নিকৃষ্টতম মামলা দায়ের করেছে, ওই মামলাগুলোর মাধ্যমে তাদের চরিত্র হনন করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। বিরোধী রাজনৈতিক মানুষদের অকাতরে জীবন দিতে হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় অনেক মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই আয়না ঘরের দৃশ্য জাতির সামনে এনেছে। আমরা আর সেই গুমের রাজ্যে ফিরে যেতে চাই না।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, হাদিস বিভাগের অ্যালামনাই ও তরুণ বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদসহ অন্যান্যরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই