আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইজারল্যান্ডের ভোটাররা মুসলিম নারীদের ‘নেকাবের’ বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। পাঁচ বছর আগে এ প্রস্তাবের সমর্থন করেছিল তারা। এটি ‘বোরখা নিষেধাজ্ঞা’ নামে পরিচিত দেশটিতে। সূত্র: এপি
এ প্রস্তাবের সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরে তারা বলছে, ‘পুরো মুখের আবরণ নারীদের জন্য ‘নিপীড়নের’ প্রতীক। যা সুইজারল্যান্ডের মত মুক্ত সমাজে এ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি’।
সূত্র বলছে, এমন পদক্ষেপে রেস্টুরেন্ট, ক্রীড়া স্টেডিয়াম, গণ পরিবহন বা রাস্তায় হাঁটার মত প্রকাশ্য স্থানে কারো মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। তবে ধর্মীয় স্থান এবং নিরাপত্তা বা স্বাস্থ্যের কারণে ব্যতিক্রম থাকবে।
সুইস সরকার এর বিরোধিতা করে বলছে, ‘বোরখা নিষেধাজ্ঞা’র এমন পদক্ষেপ নেয়া হলে পর্যটন খাত লোকসানের মুখে পড়তে পারে। কারণ সুইজারল্যান্ডে পর্দা পরা বেশীরভাগ মুসলিম নারী পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আসা পর্যটক। যারা মুখ ঢেকে রাখছে এটি তাদের ‘অভ্যন্তরিণ’ বিষয়। এমন পদক্ষেপের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ যদি কাউকে মুখ দেখাতে বলে তাহলে জনগণকে তাদের মুখ দেখাতে হবে।
সুইজারল্যান্ডের ২৬টি ক্যান্টনবারাষ্ট্রের মধ্যে দুটি, টিচিনো এবং সেন্ট গ্যালেন, ইতোমধ্যে একই ধরনের আইন আছে যা সীমালঙ্ঘনের জন্য জরিমানার ভবিষ্যদ্বাণী করে। জাতীয় আইন সুইজারল্যান্ডকে বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের মত দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে যারা ইতোমধ্যে একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে জাতীয়তাবাদী সুইস পিপলস পার্টি, যা সংসদে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ২০০৯ সালে অনুমোদিত নতুন মিনার নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা রদ করার মত পূর্ববর্তী পদক্ষেপকে সমর্থন করে।
এ প্রস্তাবের বিরোধিতাকারী বামপন্থী দলগুলোর একটি জোট এমন কিছু চিহ্ন স্থাপন করেছে যেখানে লেখা আছে, ‘অযৌক্তিক’। অকেজো। ইসলামোফোবিক।
তবে জানুয়ারী মাসে জিএফএস. বার্ন এজেন্সির প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে অর্ধেকেরও বেশি ভোটার এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে, কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রকাশিত দ্বিতীয় জরিপে দেখা গেছে, এই সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
সময় জার্নাল/আরইউ