নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালে ফারাক্কার পানি চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে। বৈঠকে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) পাঁচ দিনের সফরে ভারতের কলকাতায় যাবে। এই সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ফারাক্কার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে বৈঠকসহ ফারাক্কা বাঁধ ঘুরে দেখবেন।
শনিবার (১ মার্চ) ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এ খবর প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র কমিশনার আর আর সাম্ভারিয়া চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহমান ৫৪টি নদীর পানি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয় যুগ্ম নদী কমিশনে। এই কমিশনের বাংলাদেশের সদস্য ডা: মোহাম্মদ আব্দুল হোসেন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিবেন।
সোমবার প্রতিনিধি দলটি বিমানে কলকাতায় পৌঁছানোর পর এদিনই ট্রেনে ফরাক্কা যাবেন। ৫ মার্চ তারা ফরাক্কায় পানির প্রবাহ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সরেজমিন খতিয়ে দেখবেন। ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হবে।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালে ফারাক্কার পানি চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে। বৈঠকে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ফারাক্কার পর্যাপ্ত পানি পায়নি। পর্যাপ্ত পানির হিস্যাসহ এবার বাড়তি পানি দাবি করতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।
খবরে আরো বলা হয়েছে, পানির বাড়তি দাবি ভারত মানবে কি না তার নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থানের উপর। রাজ্য সরকার বলছে অতিরিক্ত দেয়ার মতো বাড়তি পানি নদীতে নেই। ফলে ফারাক্কার পানি চুক্তির নবায়ন নিয়ে তিস্তা নদীর মতো বিবাদ হওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলেও খবরে বলা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর