প্রযুক্তি ডেস্কঃ
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) সোমবার (১০ মার্চ) সাইবার হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ঘটনার ফলে সারাদিন ধরে প্ল্যাটফর্মটিতে বারবার বিভ্রাট দেখা দেয়।
অনেক ব্যবহারকারী পোস্ট লোড করতে না পারায় সাইটটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এক্স-এর সিইও এক পোস্টে লেখেন, 'আমরা প্রতিদিন হামলার শিকার হই। তবে এবার ব্যাপক সক্ষমতার সাথে আক্রমণ করা হয়েছে। হয়তো বড় কোনো সংগঠিত দল অথবা একটি দেশ এতে জড়িত।'
বিভ্রাট পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর জানায়, সোমবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রথমবার বড় ধরনের বিভ্রাট দেখা দেয়, যা কয়েক ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়। দুপুরের দিকে দ্বিতীয় দফা বিভ্রাট ঘটে, যা মূলত এক্স-এর মোবাইল অ্যাপে বেশি দেখা যায়। পোস্ট লোড না হলে ব্যবহারকারীদের জন্য 'কিছু ভুল হয়েছে' বার্তা প্রদর্শিত হয় এবং পুনরায় লোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, মাস্ক তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। তিনি এক ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনফ্লুয়েন্সারের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন, যেখানে বলা হয়েছিল যে মাস্কের বিভিন্ন উদ্যোগের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বিরোধিতার অংশ হিসেবে এই হামলা হতে পারে।
পরবর্তীতে ফক্স বিজনেসের এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক আবারও সাইবার হামলার দাবি করে ইঙ্গিত দেন যে এটি সম্ভবত ইউক্রেন থেকে পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা নিশ্চিত নই। তবে ইউক্রেনীয় অঞ্চলের আইপি ঠিকানা থেকে এক্স প্ল্যাটফর্মকে ধ্বংস করার জন্য ব্যাপক সাইবার হামলা চালানো হয়েছিল।'
ইলন মাস্ক অতীতে ইউক্রেন সরকারকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি দাবি করেন, তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হলে ইউক্রেনের 'পুরো সামনের সারির' প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়বে।
স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক আগেও এক্স প্ল্যাটফর্মের বিভ্রাটের জন্য সাইবার হামলাকে দায়ী করেছেন। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার এক লাইভ সাক্ষাৎকার প্রচারের সময় প্ল্যাটফর্মটি ডাউন হয়ে গেলে তিনি একে 'বৃহৎ মাত্রার ডিডিওএস হামলা' বলে উল্লেখ করেন। তবে, এক্স-এর এক সূত্র পরে দ্য ভার্জ-কে জানায় যে, আসলে কোনো সাইবার হামলা হয়নি।