নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল খায়ের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন অংঅং মারমা, সুমাইয়া শাহিনা, আদ্রিতা রায়, আরমান, মেঘমল্লার বসু, আল আমিন রহমান, রিচার্ড, হাসান শিকদার, সীমা আক্তার, সৈকত আরিফ, মাঈন আহম্মেদ ও ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে ধর্ষণবিরোধী মিছিলের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে থামানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০-১২ জন বিক্ষোভকারী আহত হন।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে, এতে দুজন গুরুতর আহত হন এবং আমিসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হই।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে যমুনার দিকে রওনা দেন।
তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগসহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে মিছিলটি পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়।