মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সৎ দাদার বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দাদী আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আমেনা অভিযুক্ত সৎ দাদা নজরুল ইসলামের ২য় স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বাতিসা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় শিশু কন্যার মা বাদি হয়ে দাদা ও দাদীর বিরুদ্ধে থানা মামলা দায়ের করেছে। সোমবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাতিসা ইউনিয়নের কালিকাপুর সীমান্তের ২১১০/১১ নং পিলার এলাকায় গত শুক্রবার ফুটবল মাঠে খেলছিল ওই শিশু কন্যাসহ অন্যান্য শিশুরা। এ সময় তাঁর সৎ দাদা নজরুল ইসলাম(৪৫) কৌশলে ওই শিশু কন্যাকে ডেকে নিয়ে ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটি কান্না করলে তার দাদি আমেনা বেগম ঘরের দরজা খুলে দেখে, তার দাদা তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করছে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তার দাদি নাতনিকে হুমকি ধমকি দেন। তারপরও বিষয়টি শিশু কন্যা তার মা এবং বাবাকে অবহিত করলে রোববার স্থানীয়ভাবে একটি শালিশ বসে। শালিশে ওই শিশু কন্যাটি প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করলে তার দাদি তাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় তার সৎ দাদা নজরুল ইসলামও শিশু কন্যাটিকে মারধরের চেষ্টা করে।
শিশু বাবা অটো চালক বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করি। সমাজের কাছে এই অন্যায়ের বিচার চেয়েছিলাম। তারা আমাকে আইনের পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
চৌদ্দগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুটির মা বাদি হয়ে দাদা নজরুল ইসলাম ও দাদী আমেনা বেগমকে আসামী করে রোববার রাতে একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দাদী আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এমআই