আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দি বিনিময়কে আগ্রাহ্য করে গাজা উপত্যকায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করায় প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করছেন ইসরাইয়েলি নাগরিকরা। গত মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক সড়কে নেমে এসে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্বহাল ও অবশিষ্ট জিম্মিদের গাজা থেকে উদ্ধারের আহ্বান জানাচ্ছেন।
তেল আবিব থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে ব্যাপক কাভারেজ দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার জেরুজালেমে আল-কুদস শহরে ইসরাইলি পার্লামেন্ট- নেসেটের বাইরে বিক্ষোভ করেন ইসরায়েলি প্রতিবাদকারীরা। তারা ইসরায়েলের স্বার্থের ওপর নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, নেতানিয়াহু ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা জেরুজালেম যাওয়ার প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই সময় তাদের হাতে বিশাল ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নেতানিয়াহু সরকার অথবা ইসরায়েলের ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে হবে।’
নেতানিয়াহুর নির্দেশে ইহুদিবাদী বাহিনী সোমবার মধ্যরাত থেকে আবার গাজাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার এক দিন পর থেকেই বিক্ষোভ চলছে। গত কয়েক দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী-শিশু দুই শতাধিক।
যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক এলিয়াস শারাগা সিএনএন’কে বলেছেন, গাজায় আবার আগ্রাসন শুরু করার প্রধান লক্ষ্য নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় টিকে থাকা। নেতানিয়াহু আসলে দুর্নীতির বিচার থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি আদালতের নেতানিয়াহুর দুর্নীতির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তার নির্দেশে গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়। শারাগা আরও বলেন, নিজেকে বিচারের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি গাজায় আটক জিম্মিদের জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। অথচ যুদ্ধবিরতি চালিয়ে গেলে তাদের মুক্ত করে আনা সম্ভব হতো।