নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট দল আখ্যায়িত করে আইনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এছাড়া ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সারাদেশে বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগকে মাফিয়া ও ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বলেন, মাফিয়া গোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা গণহত্যাকারী। এদেশে রাজনীতির কোনো অধিকার তাদের নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দল মতাদর্শ ও মার্কার বিরুদ্ধে জনগণ ৩৬ জুলাই রায় জানিয়ে দিয়েছে।
এনসিপির আহ্বায়ক দাবি জানান, জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে একটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের নিন্দা জানান। নাহিদ বলেন, তিনি সরকারপ্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এমন বক্তব্য দিতে পারেন না। আমরা তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই।
সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার জন্য দায়ী করেছে। অথচ তাদের বিচার এখনো হচ্ছে না। সারাদেশে ছাত্র-জনতাকে স্বৈরাচারদের বিচারের জন্য আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নির্বাচন বা রাজনীতির বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোনো মতামত দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে মনে করেন জুলাই আন্দোলনের শীর্ষ এই নেতা।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির অন্যতম শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের যে আলোচনা হয়েছে সেটা সরাসরি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারা প্রমুখ।