সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

মিয়ানমার সামরিক জান্তার নতুন কৌশল, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা

রোববার, এপ্রিল ৬, ২০২৫
মিয়ানমার সামরিক জান্তার নতুন কৌশল, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের যোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমার। তবে এই রোহিঙ্গারা কবে নাগাদ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভেরিফিকেশন তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে না। তাদের রেসিডেন্সি নিশ্চিত করে। রোহিঙ্গারা তাদের মূল আবাসভূমিতে নাগরিক হিসাবে ফিরতে চায়। কিন্তু মিয়ানমার তাদের অন্য জায়গায় রাখতে চায়। ফলে এর আগে তিনবার তাদের প্রত্যাবাসন চেষ্টা সফল হয়নি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেরিফিকেশন অনেক দিন ধরেই চলছে। বাংলাদেশ থেকে আট লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জন রোহিঙ্গার তালিকা ২০১৮ সালেই পাঠানো হয়েছে। তখন তারা ৩৭ হাজার ৭০০ জন রোহিঙ্গা যে মিয়ানমারের বসিন্দা তা নিশ্চিত করেছিলো। তারপর এক লাখের। এবার তারা এক লাখ ৮০ হাজারের ভেরিফিকেশনের কথা বলছে।

শুক্রবার ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমাকে জানান বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের যোগ্য (ভেরিফাই) হিসাবে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমার। বৈঠকের এই তথ্য জানান ড. খলিলুর রহমান নিজেই।


প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জানায়, ‘রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে এটি একটি বড় ও নিশ্চিত পদক্ষেপ।'’

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালে এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে দুইবার তাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ সফল হয়নি। সবশেষ ২০২৩ সালে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সফল না হওয়ার কারণ হলো রোহিঙ্গারা বলেছিলো তারা তাদের প্লেস অব অরিজিনে ফেরত যেতে চায়।

তারা যে জায়গা থেকে বাস্তুচ্যূত হয়েছে সেই জায়গায় ফেরত যেতে চায়। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। এছাড়া আরো কারণ আছে। তাদের নিরাপত্তার দাবি আছে। নাগরিকত্বের বিষয় আছে। কারণ মিয়ানমার তো তাদের নাগরিক বলছে না। তারা যে সেখানে ছিলো সেটা বলছে।’

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল