এহসান রানা, ফরিদপুর:
ফরিদপুর সদর উপজেলার জোয়াইর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লোকাল বাস খাদে পড়ে সাতজন নিহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স-টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ।
দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবী পরিবহনের বাসটির (ফরিদপুর-জ-২২-০০৬৬ নম্বর) মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তাঁর বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কোর্টপাড় এলাকায়। এ ব্যাপারে ফায়জুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাসটির ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ। ট্যাক্স–টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়ে যাওয়ায় নাম–পরিচয় শনাক্ত ও চালকের লাইসেন্স ছিল কি না, তা জানা যায়নি।
এ দুর্ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানান, এ দুর্ঘটনার কারণ জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের লাশ সৎকারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ও বিআরটিএ এর মাধ্যমে ও ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের জোবায়দা করিম জুট মিলের কাছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও রয়েছেন। হাসপাতালে রোগী দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। নিহত বাবা-ছেলে হলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শিয়ালকান্দি গ্রামের জোয়াত সরদার (৭০) ও ছেলে ইমান সরদার (২২)।এতে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। লাশ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।