তাসনীম সিদ্দিকা:
পহেলা বৈশাখ বাঙালির এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য, যার শুরু মোগল সম্রাট আকবরের রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য প্রবর্তিত বাংলা সনের হাত ধরে। সেই সময় থেকেই চৈত্র মাসের শেষ দিন বছরের শেষ এবং পহেলা বৈশাখ নববর্ষের সূচনা হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। রাজস্ব আদায়ের প্রথা কালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য আজও অমলিন, যা আজ বাঙালির আত্মপরিচয় ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে ধারাবাহিকতায় ১৪ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বাকৃবি) পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে।
সূর্যের আলো ফোটার পর চারিদিকে উৎসবের আমেজ; চারপাশে ঢাক ঢোল এবং নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে সুরের মূছর্নায় এবং শিশুদের হাসির কলরবে সে অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উদযাপন করা হয়েছে। সব থেকে উৎসাহী এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল ছোট শিশুদের তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল যেমন খুশি তেমন সাজ। কেউ হাতে কলস নিয়ে বাংলার বধূ সেজে এসেছিল কেউ বা বাংলাদেশের জার্সি পড়ে ক্রিকেটার হিসেবে সেজে এসেছিল।
সকাল সাড়ে ৭টায় পশুপালন অনুষদ থেকে নতুন একটি বাংলাবর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন বৈশাথী চত্বরে স্থাপন করা হয় পান্তা-ইলিশ, হরেক রকমের পিঠাপুলি, পায়েস,হাতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রির নানান সংখ্যক স্টল।
এরপর বৈশাখী চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য বলেন,এই দেশের মাটি আর বাতাসে গড়ে ওঠা একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বৈশাখের আগমন সব সময়ই আমাকে আলোড়িত করে। এই আয়োজন আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বহন করে।
তিনি আরও বলেন, “আনন্দ উদযাপনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব অপরিসীম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও আবাসিক এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে সীমিত শব্দে ও নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যেই উৎসব পালন করা উচিত।”
এমআই