মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে করোনা ভাইরাসের থাবায় কঠোর লকডাউনের ৭ দিনে ২ জনের মৃত্যু ও অপর ৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পিসিআর ল্যাব টেস্টে ৪৬ জন ও র্যাপিড টেস্টে ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার থাবায় গত ২৯ জুন ৪ জন, ৩০ জুন ১৩ জন, ১ জুলাই ৭ জন, ২ জুলাই ৮ জন, ৩ জুলাই ১৯ জন, ৪ জুলাই ৩ জন, ৫ জুলাই ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জুন ও ১ জুলাই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান বলেন, দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মুহুর্তে আমাদের ঘরে থাকতে হবে, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়াই উচিত। ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পড়তে হবে, মাস্কের বিকল্প কিছু নাই। যে ঘরে আক্রান্ত রোগী আছে, সেই ঘরের সকলকে ঘরে বাইরে মাস্ক পড়ে থাকতে হবে।
তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ও ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দেন। সাধারণ জ্বর কাশি সর্দি হলে হাসপাতালের জরুরি নাম্বারে কল করে টেলিমেডিসিন সেবা নেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। ০১৭৩০-৩২৪৪৬০ এ নাম্বারে কল করে যে কেউ আমাদের সেবা নিতে পারবেন। সর্বোপরি ঘরে থাকুন এবং বের হলে মাস্ক পরে করোনা প্রতিরোধে নিজে ও পরিবার কে রক্ষা করতে চৌদ্দগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের
প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে করোনা সংক্রমন রোধে জনগনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। গত ১ জুলাই থেকে চলমান লকডাউনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মানুষকে ঘরে থাকার জন্য হ্যান্ড মাইকে বার বার অনুরোধ করছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে তাদের এ অনুরোধ ও সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো চলছ্সাব ধারণ মানুষ। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দেখলে মানুষ লুকিয়ে থাকে আবার তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের ইচ্ছে মতো ছুটছে।
সময় জার্নাল/এমআই