মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবিঃ
১১ই মে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে প্রথম বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে "আলোচনা সভা ও কুরআন বিতরণ" অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখা।
সোমবার (১৩ই মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিসমিল্লাহ ক্যাফেতে উক্ত আলোচনা সভা ও কুরআন বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শেখ রিয়াদের সভাপত্বিতে এবং সেক্রেটারি মোঃ আজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক মোঃ আরমান হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি মোঃ মুশফিকুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক মোঃ আরমান হোসেন কুরআন দিবসের তাৎপর্য বর্ণনা করে বলেন ," বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৮৫ সালের ১১ই মে থেকেই এই কুরআন দিবস পালন করে আসছে। কুরআন আমাদের জন্য গাইডলাইন। আমাদের পৃথিবীতে এখন যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু থেকে থাকে সেটা কুরআন। তাই আসুন কুরআন শিখে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি এবং কুরআনকে আমরা আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেই। "
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর শহর শাখা সভাপতি মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেন, "আজকে আমরা মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি কিন্তু আজকে আমরা এমন অবস্থায় আছি যে, আমরা কুরআন পড়তে পারি না। আমরা দুনিয়া থেকে একদিন চলে যাবো, তখন হাশরের ময়দানে কুরআন না পড়তে পারার জন্য আমাদেরকে তিরস্কার করা হবে ৷ কুরআন দুনিয়াতেই এসেছে আলো ছড়াতে। সেই কুরআনের আলোই ১৯৭৭ সাল থেকে আমরা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই আজকে আমরা কুরআন বিতরণ করছি।"
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সনের ১০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের হাইকোর্ট কুরআনের বিভিন্ন আয়াতকে উষ্কানিমূলক বলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরই প্রতিবাদে ১৯৮৫ সনের ১১ই মে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আর এই প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালালে ৮ জন কুরআনপ্রেমী শহিদ হয়। সেই থেকে ১১ই মে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুরআন দিবস পালন করে আসছে।