কুয়েট প্রতিনিধি:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীর পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে আজ বুধবার (২১ মে) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানানো হয়।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভিসির কার্যালয়ের সামনে ৩য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকের দায়িত্বে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ড. হযরত আলী সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। ফলে শিক্ষকবৃন্দ তার ওপর অনাস্থা জানিয়েছেন এবং সম্মানের সাথে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৮ দিনের মাথায়ই চলমান সংকট সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারা, তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমসি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা স্থগিত করায় শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।”
গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কুয়েটের সাবেক ভিসি ড. মুহাম্মাদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১ মে ড. মো. হযরত আলীকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ ও সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষক সমাজ তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারপ্রাপ্ত ভিসি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিও লিখিতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষক সমিতি মনে করে, চলমান সংকট দীর্ঘায়িত না করতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। শিক্ষক নেতারা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন কুয়েট বান্ধব, বিধি-বিধান মেনে চলা এবং সংকট সমাধানে সক্ষম একজন নতুন উপাচার্য দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষক সমিতি আগামীকাল (২২ মে) সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধনের আয়োজন করবে এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করে দাবি জানাবে বলে জানিয়েছে।
এমআই