খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি : ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস আর আনন্দে উৎসব মূখর হয়ে উঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্ধু ও সহপাঠিদের কাছে পেয়ে মনোযোগ দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুনেন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ করা হয়।
রোববার (৭মার্চ) সকাল ৯ টায় উপজেলার ১শ’ ৭৫ টি প্রাইমারী, ৪৩ টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি মাদ্রাসা ও ১০টি কলেজ-বিএম কলেজে একযোগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মূখরিত। শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছাস আর আনন্দে উৎসবমূখর হয়ে উঠে প্রতিষ্ঠানগুলো। দীর্ঘদিন পর নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে আনন্দিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফিরে প্রায় প্রাণোচ্ছলতা। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
পরে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শোনানো হয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। সামাজিক দূরত্ব মেনে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অন্যদিকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইল, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবুল প্রমুখ।
পরে ৩ টি গ্রুপে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আবৃত্তি, চিত্রাকংন, সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচি’র শুভ সূচনা করেন। এছাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদে বেলুন, রঙ্গীন কাগজ ও আলোকবাতি দিয়ে নান্দনিকভাবে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/শাকির/ইএইচ