এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে শহিদুল মুন্সি নামে এক সেনা সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মিরাজ বিশ্বাস (২২) ও আল আমিন (২২) দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ওই সেনা সদস্য শহিদুল মুন্সির বাবা নুর আলম মুন্সী বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় দস্যুতার মামলা করেন। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক শিমুল শেখ অভিযান চালিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে দুই আসামি মিরাজ বিশ্বাস ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের নুর আলম মুন্সির ছেলে শহিদুল মুন্সী সেনা সদস্য গত ২৯ এপ্রিল এক মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। সেনা সদস্য শহিদুল মুন্সী গত ২৫ মে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে কাদিরদী বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। তিনি কাদিরদী কলেজের পাশে তেলের পাম্পের সামনে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আন্চলিক মহাসড়কের উপর পৌঁছালে কাদিরদী গ্রামের মিরাজ বিশ্বাস (২২), মো. আল-আমিন (২২), অনিক (২১) ও তুষার (২০) তার গতিরোধ করে মোটরসাইকেল, মোবাইল সেট, ডেবিট কার্ড ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনার পরেরদিন গতকাল সোমবার সেনা সদস্য শহিদুল মুন্সির বাবা নুর আলম মুন্সী বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় দস্যুতার মামলা করেন। মামলায় আসামি মিরাজ বিশ্বাস ও আল আমিনকে থানা সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুই আসামির থেকে কাছ সেনা সদস্যে থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেল ও আসামীদের পকেটে থাকা ৫ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও একটি মামলা করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, কাদিরদী এলাকায় এক সেনা সদস্যকে মারধর করার ঘটনায় দস্যুতার মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।