নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর তিনটি অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা' শীর্ষক সমাবেশ আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূল কর্মসূচি দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা যেন পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে।
অনেকের হাতে দলীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা গেছে। নেতা-কর্মীরা নেচে-গেয়ে, স্লোগানে স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেছেন। আয়োজন করা হয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠানও।
ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এ সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও, সমাবেশে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
সমাবেশে আসা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, তরুণরা আজ আর রাজনীতির অংশ হতে পারে না। তারা ভোট দিতে পারে না, নিজেদের কথা বলতে পারে না। এই সমাবেশ আমাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার জবাব। এটি এক নীরব প্রতিবাদকে সরব করে তোলার দিন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী আব্দুল গাফফার বলেন, 'পরিসংখ্যান মতে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী সাড়ে তিন কোটি ভোটার দেশে রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে তারা নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আজকের এই সমাবেশে তরুণরা তাদের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একত্র হয়েছে। নির্বাচিত সরকার না আসলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে আমরা আশা করছি।'
রাজনৈতিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে মে মাসজুড়ে এই তিনটি অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে চারটি বিভাগের বিভিন্ন শহরে দুইদিন করে সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বগুড়ায় এই ধরনের সেমিনার ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। আজ রাজধানী ঢাকায় এই কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার (২৬ তারিখ) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সমাবেশে তরুণদের বিপুল সমাগম হয়েছে। খুলনা ও বগুড়ায়ও আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতে আমরা সমাজের সব স্তরের তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ঢাকার সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ অংশ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই সমাবেশ সফল করবে। সেখানে ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার-বঞ্চিত যুবকরা গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রধান দাবি উত্থাপন করবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে এই সমাবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।