আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (২ জুন) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসছে দুই দেশের প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে রাশিয়ার কাছে যুদ্ধ বন্ধে একটি রোডম্যাপ তুলে ধরবে ইউক্রেন। এই রোডম্যাপে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোডম্যাপটির একটি অনুলিপি দেখেছে। সেখানে প্রথম ধাপে ৩০ দিনের জন্য পূর্ণ যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া উভয় পক্ষের বন্দিদের মুক্তি ও ফেরত পাঠানো এবং রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। পরবর্তী ধাপে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট—ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এত বড় সংঘাত আর দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতির অবসানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো।
ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা ইস্তাম্বুল বৈঠকের জন্য রাশিয়ার কাছে একটি শান্তি পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। তবে প্রস্তাবে আগের অবস্থান থেকে ইউক্রেন সরেনি।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন তাদের রোডম্যাপে বলেছে—শান্তিচুক্তির পর ইউক্রেন সেনাবাহিনীর ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না। একইসঙ্গে, রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলকে স্বীকৃতি না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
এছাড়া যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও রোডম্যাপে উল্লেখ আছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, ইস্তাম্বুলে মূল আলোচনা হবে যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা বা ফ্রন্ট লাইন নিয়ে সমঝোতা করার বিষয়টি ঘিরে। রাশিয়ার সাম্প্রতিক দাবিগুলোর সঙ্গে এই প্রস্তাবগুলোর অনেকটাই অমিল রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও দ্বিতীয় দফায় ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো স্মারকলিপি পায়নি, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব থাকবে।
তবুও, শান্তি আলোচনায় এগিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
এমআই