কাউসার আহমেদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫ উৎযাপন করা হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিলো আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ এবং গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজিত কর্মসূচির
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহাবুদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান আকন্দ এবং সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান।
আলোচনায় তাঁরা পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতার গুরুত্ব এবং বৃক্ষরোপণের সামাজিক ও পরিবেশগত উপকারিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনা শেষে তাঁরা উপস্থিত পাঠক ও গ্রন্থাগারের সদস্যদের মাঝে বৃক্ষরোপণের জন্য কৃষ্ণচূড়া, নিম ও কাঁঠালের চারা বিতরণ করেন। গ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকেও চারাগুলি বিতরণ ও রোপণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা হয়।
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগারের পরিচালক জিল্লুর রহমান রিয়াদ, গ্রন্থাগারের সাবেক সভাপতি এবিএম জাকির হাসান কাউসার, বর্তমান সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েছ তুষার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান।
গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের পাশাপাশি স্থানীয় আছিম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে কৃষ্ণচূড়া ও নিম গাছের চারা রোপণ করা হয়। সবমিলিয়ে প্রায় ৫০টির অধিক গাছের চারা বিতরণ করা হয় পথচারী, পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে।
অনুষ্ঠান শেষে গ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব হাসান বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। গত চার বছর ধরে আমরা বর্ষাকালব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এবছরও তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হলো।’
আরও জানান, গ্রন্থাগারের এ কর্মসূচিতে স্থানীয় শিক্ষার্থী, তরুণ, পাঠক, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাঁরা অনুপ্রাণিত। পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয়ভাবে এমন একটি সচেতনতামূলক উদ্যোগে তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।