এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা বদিউল আলম তুহিন সরকারকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পর্নোগ্রাফির ফাঁদে ফেলে প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা সদর থানার হাউজিং এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত বদিউল আলম তুহিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
মামলা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে পারিবারিকভাবে পরিচিত তানিয়া খানম নামে এক নারী ব্যক্তিগত ভিডিও সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সুপার এডিট করে অশ্লীল ভিডিও তৈরির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চক্রটি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলা নম্বর-৯।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম খান ওরফে সুমন শিকদার (৩৪), তার স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২), নয়নীপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার ছেলে মুজাহিদ (২৫), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২) এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলী বেগম (৩২)।
শুক্রবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক শামীম দেওয়ান জানান, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারি চালিয়ে অবশেষে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এর আগেই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কাকলী বেগম, তানিয়া খানম ও মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।