আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি করোনা মহামারির চেয়েও ক্ষুধায় বিশ্বে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের পক্ষ থেকে আজ এমনটি জানানো হয়েছে।
অক্সফামের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে গত বছর দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে। করোনার মহামারিতে বিশ্বের দুর্বল সম্প্রদায়গুলো বারবার একই বার্তা দিচ্ছে যে করোনার আগেই ক্ষুধায়ই তারা মারা যাবে।
অক্সফাম বলছে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে ক্ষুধায় ১১ জনের মৃত্যু হচ্ছে। যেখানে করোনায় প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছে সাতজন।
অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইয়েমেন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ার মতো দেশগুলোয় করোনার মহামারি খাদ্যসংকটকে আরও তীব্র করেছে।
বিবৃতিতে অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণবেকারত্ব এবং মারাত্মকভাবে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
অক্সফাম বলছে, পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বিশ্বে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে। আর বিশ্বের সাড়ে ১৫ কোটি মানুষ তীব্র ক্ষুধা নিয়ে জীবনধারণ করছে। এসব মানুষের তিনজনের মধ্যে দুজনই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয় বাস করে।
এ নিয়ে অক্সফাম ফ্রান্স অফিসের কৃষি এবং খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা হেলেনে বোট্রেউ বলেন, ‘সংঘাত, কোভিড-১৯–এর অর্থনৈতিক পরিণতি এবং জলবায়ুর সংকটের মতো একের পর এক সংকট বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আগামী সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এর আগেই ক্ষুধা নিয়ে এই বিশ্লেষণ প্রকাশ করল অক্সফাম।
সময় জার্নাল/আরইউ