নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরের ভাঙার ভাঙাদিয়া গ্রামে কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা মিলন বিন্দুতে "আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র" করার দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র বাস্তবায়ন কমিটি।
(৭ আষাঢ়/২১ জুন) ফরিদপুর ভাঙার ভাঙাদিয়া গ্রামে কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা মিলনবিন্দুতে তারা এই দাবি জানান। এ সময় নাট্যব্যক্তিত্ব ও অধ্যক্ষ এডভোকেট লুৎফুল আহসান বাবুর সভাপতিত্বে কবি সৈয়দ নাজমুল আহসান সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গোলাম মোস্তফা তাপোস, এডভোকেট আলেয়া বেগম লাকী, কবি মাসুম আহমেদ রানা, কবি জাহিদুল ইসলাম, ডাঃ মআআ মুক্তাদীর, কবি ইয়াছমিন আরা শশী,রিয়াদ মাহমুদ খান,রুদ্র, প্রমুখ।
এরপর এলাকাবাসী সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তারা বলেন, ফরিদপুর ভাঙার ভাঙাদিয়া গ্রামে কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা মিলনবিন্দু এলাকাতে আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র/আন্তর্জাতিক মহাকাশ অবলোকন ও পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করতে আরো বেশ কয়েক একর জায়গার প্রয়োজনী যথাযথ ব্যাবস্থ করা জন্য আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি ।
পৃথিবীতে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত তিনটি রেখা কল্পনা করা হয়, সেগুলো হলো- কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি ও বিষুবরেখা। ঠিক তেমন উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রেখা আছে চারটি।
সেগুলো হলো- শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা। চারটি উত্তর-দক্ষিণ রেখা এবং তিনটি পূর্ব-পশ্চিম রেখা-সব মিলিয়ে ১২ জায়গায় ছেদ করেছে।
এই ১২টি বিন্দু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু। ১২টি বিন্দুর ১০টি বিন্দুই পড়েছে সাগরে-মহাসাগরে, তাই মানুষ সেখানে যেতে পারে না।একটি পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে, সেখানেও মানুষ যায় না। শুধু একটি বিন্দু পড়েছে সমতল মাটিতে, যেখানে মানুষ যেতে পারে।আর সেই বিন্দুটিই পড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গাদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে। গুগল ম্যাপে গিয়ে 23.5N 90E লিখলে সেটি কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা কোথায় ছেদ করেছে সেটা দেখিয়ে দেবে।গুগল ম্যাপে খুব সহজেই ছেদবিন্দুটি দেখা যায় ফরিদপুরের কাছে ভাঙ্গায়।
ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার সড়কে পুখুরিয়া নামক স্থান থেকে সদরপুর উপজেলার দিকে যেতে স্থানীয় বাইশরশি শিব সুন্দর একাডেমি সংলগ্ন নুরুলগঞ্জমুখী রাস্তা ধরে তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর সেখানে বিল ধোপডাঙ্গা মৌজায় ভাঙ্গাদিয়া গ্রাম ৯৪ নাম্বার বিদ্যুৎ খুটির সংলগ্ন স্থানে।
এখানে আন্তর্জাতিক মানের International geography research Park / International global research Park / আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র/আন্তর্জাতিক মহাকাশ অবলোকন ও পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে, বদলে যাবে জীবনধারা। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি কয়েকগুণে বেড়ে যাবে জমির দাম, যার সুফল ভোগ করবে এই এলাকার সাধারণ মানুষ।
কেন্দ্র গড়ে উঠলে। যার সুবিধা পেতে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিদেশি পর্যটকদেরও আগমন ঘটবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হবে। জাতীয় জীবনের আর্থ-সামাজিক পরিসরে ইতিবাচক দিকে গতি সঞ্চার করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সূচক।
ইতোমধ্যে একাধিকবার ভাঙ্গাদিয়া গ্রামের ওই জমি সরকারি লোকজন পরিদর্শন করেছেন কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের International geography research Park / International global research Park / আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র/আন্তর্জাতিক মহাকাশ অবলোকন ও পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করতে আরো বেশ কয়েক একর জায়গার প্রয়োজন হবে।
বর্তমান সরকারের নিকট অনুরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে International geography research Park / International global research Park / আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র/আন্তর্জাতিক মহাকাশ অবলোকন ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলুন।
এমআই