এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪ যুগ পরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে তৃনমুল কর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সাধারণ কর্মীরা বলছেন, মাঠে একাধিক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও সভাপতি পদে মো. সেলিম মিয়ার বিকল্প দক্ষ সংগঠক এখনও সৃষ্টি হয়নি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে দীর্ঘ ৪৬ বছর পর আসন্ন ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল ২৮ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে প্রথম কাউন্সিল হয়েছিলো ১৯৭৯ সালে। আসন্ন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে তৃনমুল বিএনপির কর্মীদের মাঝে একদিকে উৎসবের আমেজ, অন্যদিকে নানামুখি আলোচনার ঝড়, দলের পরিক্ষিত নেতাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহŸান। প্রায় ৪ যুগ পরে প্রথম ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাঠে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। যে কারনে বিগত দিনে দলীয় কর্মকান্ডে এ প্রার্থীদের কতটুকু ভুমিকা ছিলো এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ কর্মীদের মাঝে। সভাপতি পদে মাঠে রয়েছেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম, বিএনপি নেতা মো. মনিরুজ্জামান ও মহিউদ্দিন খান।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি নেতা বিএনপি নেতা আব্দুল গফফার হাওলাদার, যুবদল নেতা জাকারিয়া মাহমুদ, বিএনপি নেতা প্রভাষক মো. শামিম আহসান, ছাত্রদল নেতা এনামুল হক। এ ছাড়াও সংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন তারা হলেন বিএনপি নেতা মাষ্টার মো. আব্দুল আলিম ফরাজী, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম রঙ্গু, বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ ও বিএনপি নেতা তোফায়েল হাওলাদার।
এ সব একাধিক প্রার্থীরা ভোটাররা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। চায়ের দোকান, হোটেল রেস্তোরায় আলোচনা কেন্দ্র বিন্দু কারা হবেন বিজয়ী। সাধারণ তৃনমুল কর্মীরা হিসেব নিকাশ করছেন বিগত দিনে হামলা, মামলার স্বিকার হয়ে দলের প্রতি যাদের ত্যাগ রয়েছে তাদেরকেই বেঁচে নিবেন।
মাঠ পর্যায়ে তৃনমুল কর্মী সুজন হাওলাদার বলেন, ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। তখন পাসে এসে দাড়িয়ে ছিলেন বিএনপি নেতা মো. সেলিম মিয়া। আর কাউকে তো দেখিনি। ঢাকা থেকে শুধুমাত্র ভোট দিতে আসা বিএনপির কর্মী মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, অনেক বছর পর দলের ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করা এটি পুনঃ গনতন্ত্রের দৃষ্টান্ত। দক্ষ সংগঠক বিএনপি নেতা সভাপতি পদে মো. সেলিম মিয়ার বিকল্প নেতা এখনও তৈরি হয়নি।
এ বিষয়ে বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো. সেলিম মিয়া বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্যাডে নিজ হাতে ১৯৭৮ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর তার লেখা চিঠি (যার নং-১০৩৮৪) সেই স্মৃতি আজও চোঁখের সামনে ভাসছে। তার পিতা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে সাধারণ মানুষের পাসে থেকে কথা বলেছে। তিনিও দলের একজন কর্মী হিসেবে দুঃসময়ে তৃনমুল কর্মীদের পাসে ছিলেন। যে কারনেই এ কাউন্সিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী। কাউন্সিলকে ঘিরে একটি মহল বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। তবে, কাউন্সিলের ভোটাররা সংঘবদ্ধ থাকার কারনে সেটি সফল হতে পারবে না।
এ সর্ম্পকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. মনিরুল হক ফরাজী বলেন, খাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করতে দলীয়ভাবে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। অপ্রতিকর কোন ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। সেক্ষত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তবে, এবারে তৃনমুল ভোটের মাধ্যমে দলের পদে নেতা নির্বাচিত করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর এটি পুনঃগণতন্ত্রের দৃষ্টান্ত।
এমআই